India-China bilateral relations: 'শক্তিশালী ও আত্মবিশ্বাসী', ভারতকে ভয় পেল চিন? নিজের অবস্থানে অবশ্য অনড় মোদীরা

আন্তর্জাতিক
ভারতের ভূয়সী প্রশংসা করল চিনা সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম। ওই সংবাদমাধ্যমের কলামে ভারতকে শক্তিশালী এবং আত্মবিশ্বাসী হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।তারইমধ্যে পূর্ব লাদাখ সীমান্ত সংঘাতের প্রেক্ষিতে চিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকার বার্তা দিয়েছে ভারত। চিনের সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মোটেও স্বাভাবিক নয়। নিজের অবস্থানে অনড় থেকে আরও একবার স্পষ্ট করে দিল ভারত। নয়াদিল্লির তরফে স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, যতদিন না পূর্ব লাদাখ সীমান্ত (ওয়েস্টার্ন সেক্টর) নিয়ে সংঘাত মিটছে, ততদিন সেই সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে না। আর সেই সংঘাত মেটানোর জন্য সামরিক এবং কূটনৈতিক স্তরে দু'দেশের মধ্যে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।পূর্ব লাদাখ সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীব জয়সওয়াল বলেন, ‘চিন নিয়ে আমাদের অবস্থান সকলের কাছেই জলের মতো স্পষ্ট। সেই সম্পর্ক স্বাভাবিক নয়। গত অক্টোবরে সামরিক স্তরে এবং নভেম্বর কূটনৈতিক স্তরে ভারত এবং চিনের মধ্যে যে আলোচনা হয়েছে, তা নিয়েও মুখ খুলেছেন ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র। তিনি বলেন, ‘কিছুটা যাতে সমাধানসূত্র পাওয়া যায়, সেজন্যই আমরা আলোচনার টেবিলে বসা হচ্ছে।’ উল্লেখ্য, গত ৯ অক্টোবর এবং ১০ অক্টোবর সামরিক পর্যায়ের বৈঠকে ওয়েস্টার্ন সেক্টরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর যে যে সমস্যা আছে, তা দ্রুত সমাধানের বিষয়ে একমত হয়েছে দু'দেশ। তারইমধ্যে চিনের সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমসে ভারতের ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে। চিনের সরকার নিয়ন্ত্রিত ওই সংবাদমাধ্যমে নিজের কলামে ফুদান বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার অফ সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের অধিকর্তা ঝ্যাং জিয়াডঙ লিখেছেন যে শেষ চার বছরে অর্থনৈতিক এবং সামাজিক ক্ষেত্রে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে নরেন্দ্র মোদীর ভারত। শুধু তাই নয়, ভারত শক্তিশালী এবং আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছে বলেও মতপ্রকাশ করেছেন তিনি। যে শক্তিকে অবহেলা করা যাবে না। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, চিনের সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যমের কলামে সচরাচর এভাবে ভারতের প্রশংসা করা হয় না। আর সেখানে যেভাবে গ্লোবাল টাইমসের প্রতিবেদনে মোদীর ভারতের প্রশংসা করা হয়েছে, তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে সংশ্লিষ্ট মহলের মত। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ওই প্রতিবেদনে ভারতের জন্য যে ভাষা প্রয়োগ করা হয়েছে, তা যে যথেষ্ট সম্ভ্রমের, সেটা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।

Related News