Kolkata Building Collapse: ফিরহাদের এলাকায় 'অবৈধ নির্মাণ' ভেঙে বিপত্তি, ধসে পড়া বহুতলে চাপা পড়ে মৃত ২

হোম
যেখানে বিল্ডিংটি ধসে পড়েছে, সেটি কলকাতা পুরসভার অন্তর্গত ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে। এটি কলকাতা বন্দর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। যা কি না খোদ কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের নির্বাচনী কেন্দ্র। এখান থেকেই টানা জিতে তিনি বিধায়ক হয়েছেন। এদিকে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, এই বিল্ডিংটি বেআইনি ভাবে নির্মাণ করা হচ্ছিল। মধ্যরাতে কলকাতার গার্ডেনরিচে ভেঙে পড়ল বহুতল। জানা গিয়েছে, গতকাল রাত ১২টা ১০ মিনিট নাগাদ এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বহুতল থেকে ১৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। পরে ২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। জানা গিয়েছে, ভেঙে পড়া বহুতলটি নির্মীয়মাণ ছিল। জানা গিয়েছে, ভেঙে পড়া বিল্ডিংয়ের পাশের বস্তির লোকজনই হতাহত হয়েছেন এই ঘটনায়। বিল্ডিংটি ভেঙে পড়ায় পাশের টালির বাড়িতে থাকা অনেকেই চাপা পড়ে যান। পরে উদ্ধারকারী দল অনেক প্রচেষ্টার পরে রাতেই চাপা পড়া ১০ জনকে উদ্ধার করা যায় বলে জান গিয়েছে। তারপর রাতভর উদ্ধারকাজ জারি থেকেছে বলে জানা গিয়েছে। তবে এখনও বিল্ডিং ধসে পড়ার কারণ নিয়ে সরকারি ভাবে কিছু বলা হয়নি। তবে হিন্দুস্তান টাইমসকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক উদ্ধারকর্তা জানান, ১০ জন বস্তিবাসীকে সেই ধসে পড়া বিল্ডিং থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সেই কর্মী জানান, উদ্ধারকাজ এখনও জারি আছে। ঘটনাস্থলে আছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম নিজে। তিনিই জানান, দুর্ঘটনায় দু'জনের মৃত্যু ঘটেছে। (আরও পড়ুন: দু'দিন আগেই গঙ্গার নীচ দিয়ে শুরু হয়েছে মেট্রো চলাচল, যাত্রী সংখ্যায় হাঁ হবে মুখ!) এদিকে গতরাত ১টা ৪০ মিনিট নাগাদই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। তবে অত রাতে তিনি আর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেননি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দমকলকর্মী হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, 'ঘিঞ্জি এলাকায় বিল্ডিংটি ধসে পড়েছে। তাছাড়া এখানে আলো কম। তাই ক্রেন নিয়ে এসে উদ্ধারকাজে ব্যবহার করতে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে।' জানা গিয়েছে, যেখানে বিল্ডিংটি ধসে পড়েছে, সেটি কলকাতা পুরসভার অন্তর্গত ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে। এটি কলকাতা বন্দর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। যা কি না খোদ কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের নির্বাচনী কেন্দ্র। ২০১১ সাল থেকে এখান থেকেই টানা জিতে তিনি বিধায়ক হয়েছেন। এদিকে স্থানীয়রা সংবাদমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেছেন, এই বিল্ডিংটি বেআইনি ভাবে নির্মাণ করা হচ্ছিল। পুরসভার আইন অমান্য করে পাঁচতলা বিল্ডিং তোলা হয়েছিল সেই ঘিঞ্জি এলাকায়। বিল্ডিংয়ের সামনের রাস্তাটি তিন ফিটের বেশি চওড়া নয়। এত সংকীর্ণ রাস্তার সামনে পাঁচতলা ভবন তোলার অনুমতি পাওয়া যায় না পুরসভা থেকে। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই বিল্ডিং নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল প্রায় ২ বছর আগে। অভিযোগ, অবৈধ ভাবে আরও অনের বহুতল সেই এলাকায় নির্মাণ করা হয়েছে বিগত বছরগুলিতে। এদিকে লোকসভা ভোটের আগে এহেন দুর্ঘটনা ঘটায় বিরোধী বিজেপি তোপ দেগেছে তৃণমূলকে। বিরোধী দলনেতা গভীর রাতে এই নিয়ে পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। source:bangla.hindustantimes.com

Related News