Sarabjit's daughter on Tamba's Killing: 'ন্যায়বিচার নয়…', বাবার খুনির মৃত্যু নিয়ে মনের কথা বললেন সরবজিৎ কন্যা
হোম
দীর্ঘ দুই দশকেরও বেশি সময় পাক জেলে কাটানোর পর নৃশংস ভাবে খুন হতে হয়েছিল ভারতীয় নাগরিক সরবজিৎ সিংকে। পরে সরবজিতের খুনিকে মুক্তি দিয়েছিল সেদেশের আদালত। তবে সম্প্রতি সেই খুনিকে গুলি খতম করল অজ্ঞাত পরিচয় বন্দুকবাজরা। এই নিয়ে কী বলছেন তাঁর কন্যা?
1/5বাবার খুনির মৃত্যু প্রসঙ্গে সরবজিতের মেয়ে স্বপনদীপ কৌর বলেন, 'প্রাথমিক ভাবে খবরটা পেয়ে সন্তুষ্টই হয়েছিলাম। কিন্তু পরে আমি ভাবলাম, এটা সঠিক ন্যায়বিচার নয়। কেন আমার বাবাকে হত্যা করা হয়েছে, তা খুঁজে বের করার জন্য বিচার চেয়েছিলাম আমরা।' স্বপনদীপের আরও অভিযোগ, সরবজিতের খুনের নেপথ্যে হাত ছিল পাক সরকারেরই। (AP)
2/5উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে লাহোরে জেলের ভিতর খুন করা হয়েছিল ভারতীয় নাগরিক সরবজিৎ সিংকে। সেই খুনের ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছিল পাকিস্তানি ডন আমির সরফরাজ তাম্বার দিকে। পরে ২০১৮ সালে সেদেশের আদালত তাকে প্রমাণের অভাবে ছেড়ে দিয়েছিল। সেই তাম্বাকে সম্প্রতি লাহোরে গুলি করে খুন করে দুই অজ্ঞাত পরিচয় বাইক আরোহী। ২৬/১১ মুম্বই হামলার পরিকল্পনাকারী হাফিজ সইদের খুব ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত ছিল এই তাম্বা। (AP)
3/5রিপোর্ট অনুযায়ী, লাহোরের ইসলামপুরা এলাকায় গুলি করে মারা হয় পাকিস্তানি ডন আমির সরফরাজ তাম্বাকে। এদিকে তাম্বার খুনের ঘটনাতেও পাক সরকারের হাত থাকতে পারে বলে দাবি করেন সরবজিতের কন্যা। তাঁর কথায়, 'আমার বাবার হত্যাকাণ্ডে যদি তিন-চারজন জড়িত থাকে, তাহলে ষড়যন্ত্র আড়াল করার জন্য ওই ব্যক্তিকে হত্যা করে তা ধামাচাপা দিয়েছে পাকিস্তান সরকার।' (AP)
4/5উল্লেখ্য, পঞ্জাবের তরণ তারণ জেলার বাসিন্দা ছিলেন সরবজিৎ সিং। ১৯৯০ সালে তিনি ভুল করে সীমান্ত পার করে পাকিস্তানে প্রবেশ করেছিলেন। প্রাথমিকভাবে তাঁর বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে পাকিস্তানে অনুপ্রবেশ করার অভিযোগ তোলা হয়েছিল। পরে এক বিস্ফোরণের মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হয় সরবজিৎকে। ১৯৯১ সালে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে কোট লাখপত জেলে পাঠানো হয়। (AP)
5/5এরপর টানা দুই দশক ভাইকে দেশে ফেরানোর জন্যে লড়াই চালিয়ে গিয়েছিলেন সরবজিতের দিদি দলবীর কৌর। এরপর ২০১৩ সালের ২৬ এপ্রিল লাহোরের কোট লাখপত জেলে সরবজিৎকে আক্রমণ করে সহবন্দিরা। ১ মে তাঁকে ব্রেন ডেড ঘোষণা করা হয় এবং পরের দিন তিনি মারা যান। ২০২২ সালের জুনে প্রয়াত হয়েছিলেন সরবজিতের দিদি। (AP)
source:bangla.hindustantimes.com