Chinese killed in Karachi Blast: করাচি এয়ারপোর্টের বাইরেই ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃত ২ চিনা, চটে লাল বেজিং, হাত বালোচদের
পাকিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠে গেল। কারণ করাচি বিমানবন্দরের বাইরে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটল। তার জেরে দুই চিনা নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। আর তা নিয়ে তুমুল ক্ষোভপ্রকাশ করেছে চিন। হামলার দায় স্বীকার করেছে বালোচ লিবারেশন আর্মি।
পাকিস্তানের করাচি বিমানবন্দরের বাইরে ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃত্যু হল কমপক্ষে দু'জনের। আহত হয়েছেন কমপক্ষে আটজন। সংবাদসংস্থা এএফপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, চিনা দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছে, বিস্ফোরণে যে দু'জনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁরা দু'জনই চিনের নাগরিক। আহতদের মধ্যেও একজন চিনের নাগরিক আছেন। পাকিস্তানের কাসিম বন্দরে চিনের টাকায় যে বিদ্যুৎ প্রকল্প চলছে, তাতে যুক্ত লোকেদের কনভয়ে হামলা চালানো হয়েছে। ইতিমধ্যে সেই বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করে নিয়েছে বালোচ লিবারেশন আর্মি। যে গোষ্ঠী বালোচিস্তানকে স্বায়ত্তশাসনের অধিকার প্রদানের দাবি তুলে আসছে। আর মাঝেমধ্যেই চিনা নাগরিকদের ‘টার্গেট’ করে থাকে। আর সেই ঘটনার জেরে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে নতুন করে পাকিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। করাচিতেও ম্যাচ আছে। আর যে বিমানবন্দরের বাইরে রবিবার রাতে বিস্ফোরণ ঘটেছে, সেই এয়ারপোর্ট দিয়েই খেলোয়াড়রা নিশ্চয়ই আসতেন।
বহুদূর থেকেও শোনা গিয়েছে বিস্ফোরণের শব্দ
বিশেষত রবিবার রাত ১১ টা নাগাদ (স্থানীয় সময় অনুযায়ী) যে বিস্ফোরণ ঘটেছে, সেটার তীব্রতা যথেষ্ট বেশি ছিল। ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে দাউদাউ করে জ্বলছে একাধিক গাড়ি। আর তা থেকে গলগল করে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। পাকিস্তানের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে করাচির বিভিন্ন প্রান্তে শব্দ শোনা গিয়েছে। কয়েক কিলোমিটার দূর থেকেও সেই বিস্ফোরণের আওয়াজ কানে এসেছে বলে দাবি করা হয়েছে একাধিক পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে।
সংবাদসংস্থা এপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্টের (সিআইডি) ডেপুটি ইনস্পেক্টর জেনারেল (ইস্ট) আফজর মাহেসর দাবি করেছেন যে অয়েল ট্যাঙ্কারের বিস্ফোরণের মতো কোনও ঘটনা ঘটেছে। ঠিক কী ঘটেছে, সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে কিছুটা সময় লাগবে। সেইসঙ্গে ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় কয়েকজন পুলিশ অফিসারও আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন মাহেসর।
source:-hindustantimes.com