
বিজেপিতে কি প্রথম মহিলা সভাপতি? মোদীর হাত ধরে দলে আড়াই দশক ধরে নিঃশব্দ উত্থান ঘটেছে কার্গিল শহিদের জায়ার
সরকারে বা সাংবিধানিক পদে দলিত, অনগ্রসর, জনজাতি বা মহিলাদের পাঠালেও নিজেদের দলের সর্বোচ্চ পদে কখনও কোনও মহিলাকে বিজেপি বসাতে পারেনি।
সাড়ে চার দশকের ইতিহাসে কি প্রথম মহিলা সভাপতি পেতে চলেছে বিজেপি? ঘটনাপরম্পরা এবং সাংগঠনিক ইঙ্গিত তেমনই আলোচনার জন্ম দিয়েছে বিজেপির অন্দরমহলে। মহিলা, অনগ্রসর শ্রেণি এবং আসন্ন বিহার নির্বাচনের ‘সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং’-এ প্রভাব ফেলতে সক্ষম— এই সবের সমন্বয়ে এমন একটি নাম ভাসতে শুরু করেছে নয়াদিল্লির দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গের বাতাসে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। তা নির্ভর করছে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের উপর, যে শেষ মুহূর্তে তাঁরা কাহিনিতে কোনও ‘মোচড়’ দেন কি না।
কিন্তু যে নাম নিয়ে যে জল্পনা চলছে, সেই জল্পনার পিছনে কিছু যুক্তি, কারণ এবং সূচক রয়েছে। মোদী-শাহেরা গোটা দেশে বার্তা দিতে চান যে, বিজেপি শুধু বর্ণহিন্দুর দল নয়, সমান ভাবে অনগ্রসর শ্রেণিরও প্রতিভূ। তাঁরা বার্তা দিতে চান, বিজেপি মহিলাদের ক্ষমতায়নেও সবচেয়ে অগ্রগণ্য। প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজে ওবিসি সম্প্রদায়ের। দ্রৌপদী মুর্মু দেশের ইতিহাসে প্রথম জনজাতি সম্প্রদায়ের রাষ্ট্রপতি। উপরন্তু তিনি মহিলা। তাঁর আগেই দলিত নেতা রামনাথ কোভিন্দকে রাষ্ট্রপতি করেছিল বিজেপি। কিন্তু সরকারে বা সাংবিধানিক পদে দলিত, অনগ্রসর, জনজাতি বা মহিলাদের পাঠালেও নিজেদের দলের সর্বোচ্চ পদে কখনও কোনও মহিলাকে বিজেপি বসাতে পারেনি। বিজেপিতে মোদী-শাহ যুগ চলাকালীন সেই ‘মাইলফলক’ ছুঁয়ে ফেলার সম্ভাবনা নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে বলে খবর। এবং এমন এক মহিলার নাম আলোচনায় এসেছে, যিনি বিহারের আসন্ন নির্বাচনে জাতপাতের সমীকরণেও প্রভাব ফেলতে পারেন বলেই বিজেপির চিন্তকদের অনেকের ধারণা।
তবে বিজেপির ইতিহাসে এখনও পর্যন্ত কোনও মহিলা ‘সভাপতি’ পদ পাননি। তাই সুধার বিষয়েও এখনও কেউ নিশ্চিত নন। ঘটনাপরম্পরা এবং সাংগঠনিক সমীকরণে কিছু ইঙ্গিত পেয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। দলের সেই অংশ মনে করছে, পরিস্থিতির ‘নাটকীয়’ বদল না-হলে দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন এক মহিলাই।
Source : www.anandabazar.com