
‘ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তিচুক্তি করতে হবে!’ এ বার রাশিয়াকে নিষেধাজ্ঞা ও শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের
রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধবিরতি প্রসঙ্গে হোয়াইট হাউসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির সঙ্গে বেনজির বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েছিলেন ট্রাম্প। সেই আবহেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা এবং শুল্ক আরোপের বিষয়টি প্রকাশ্যে এল।
ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি এবং তার পর শান্তিচুক্তি না হওয়া পর্যন্ত রাশিয়ার প্রতি কোনও ভাবেই যে নরম মনোভাব দেখাবেন না, তা স্পষ্ট করলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি জানান, শান্তিচুক্তি না হওয়া পর্যন্ত রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা বৃদ্ধি এবং শুল্ক আরোপের বিষয় নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে।
রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধবিরতি প্রসঙ্গে হোয়াইট হাউসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির সঙ্গে বেনজির বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েছিলেন ট্রাম্প। একটা সময় তর্কাতর্কি এমন পর্যায়ে পৌঁছোয় যে, বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান জ়েলেনস্কি। তার পর কয়েক দিন ধরেই বিশ্ব কূটনৈতিক মহলে চর্চার বিযয় হয়ে উঠেছে ট্রাম্প-জ়েলেনস্কি বাদানুবাদ। তার পরই ট্রাম্প ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য বন্ধের নির্দেশ দেন। প্রশ্ন ওঠে, ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নিয়েও। যদিও গত বুধবার মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে বক্তৃতার সময় ট্রাম্প জানান, তিনি জ়েলেনস্কির থেকে একটি চিঠি পেয়েছেন। ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, তিনি যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার টেবিলে বসতে রাজি।
সেই আবহেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা এবং শুল্ক আরোপের বিষয়টি প্রকাশ্যে এল। সমাজমাধ্যমে এক বিবৃতিতে ট্রাম্প জানিয়েছেন, যুদ্ধক্ষেত্রে এই মুহুর্তে রাশিয়া পুরোপুরি ভাবে ইউক্রেনকে আক্রমণ করছে। এই বিষয়ের কথা বিবেচনা করে রাশিয়ার ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি এবং শুল্ক আরোপের বিষয় নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে। যত ক্ষণ পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি এবং শান্তিচুক্তিতে না পৌঁছোনো যাচ্ছে, তত দিন পর্যন্ত এই বিষয়টি বলবৎ রাখা যেতে পারে।
উল্লেখ্য, জো বাইডেনের সময়কালে রাশিয়া প্রায় কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল। ইউক্রেনকে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছিল বাইডেন প্রশাসন। এমনকি, রাশিয়ার বিভিন্ন বিষয়ের উপর নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছিল। যদিও ট্রাম্প দ্বিতীয় বার আমেরিকায় ক্ষমতায় আসার পর রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের সমীকরণ বদলাতে শুরু করে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনাও করেন ট্রাম্প। এমনকি, ট্রাম্প প্রশাসন রাশিয়ার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয় নিয়েও ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে বলে খবর মেলে। সেই আবহে ট্রাম্পের এই হুঁশিয়ারির পর দুই দেশের সম্পর্ক কোন দিকে মোড় নেয়, তা নিয়ে চিন্তিত অনেকেই।
Source : www.anandabazar.com