
ল্যানিংয়ের লড়াই ব্যর্থ, জয়ী গুজরাত
শুক্রবার টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় গুজরাত। বিধ্বংসী ইনিংস উপহার দিলেন মেগ ল্যানিং। মাত্র ৫৭ বলে ৯২ রান করেন। ইনিংস সাজিয়েছেন ১৫টি চার ও একটি ছক্কার সাহায্যে।
হাড্ডহাড্ডি লড়াই ডব্লিউপিএলে। শেষ ওভারে গিয়ে ফয়সালা হল ম্যাচের। দু’বল বাকি থাকতে গুজরাত জায়ান্টসকে পাঁচ উইকেটে জেতালেন হরলিন দেওল। ব্যর্থ হল দিল্লি ক্যাপিটালসের মেগ ল্যানিংয়ের অধিনায়কোচিত ইনিংস।
শেষ দিকে ১৮ বলে জয়ের জন্য গুজরাতের প্রয়োজন ছিল ৩২ রান। সেই ওভারের পঞ্চম ও শেষ বলে দিয়ান্দ্রা ডটিন (২৪) এবং ফিবি লিচফিল্ড (০)-কে পরপর আউট করে দিল্লির জয়ের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন জেস জোনাসেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ক্রিজ়ে থেকে জেতালেন হরলিন। ন’টি চার ও একটি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ৪৯ বলে ৭০ রানে অপরাজিত থাকলেন ভারতীয় ব্যাটার।
শুক্রবার টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় গুজরাত। বিধ্বংসী ইনিংস উপহার দিলেন মেগ ল্যানিং। মাত্র ৫৭ বলে ৯২ রান করেন। ইনিংস সাজিয়েছেন ১৫টি চার ও একটি ছক্কার সাহায্যে। দিল্লি তোলে ২০ ওভারে ১৭৭-৫।
গুজরাট জায়ান্টসের বিরুদ্ধে ওপেন করতে নামার পরে ল্যানিং ফিরলেন ২০তম ওভারের চতুর্থ বলে। মাঠের চারিদিকে সমান দক্ষতায় শট খেললেন। দিয়ান্দ্রা ডটিনের বল উইকেটে লাগার পরে তিনি যখন ফিরছেন সারা মাঠ উঠে দাঁড়িয়ে হাততালি দিল।
এ দিন শুরু থেকেই শেফালি বর্মাকে নিয়ে দ্রুত রান তুলতে থাকেন ল্যানিং। পাওয়ারপ্লে-তে প্রথম ছয় ওভারে ৫১ রান যোগ করে এই জুটি। তাঁদের দাপটে মাত্র নয় ওভারেই দিল্লি পৌঁছে যায় ৮৩ রানে। শেফালি করেন ২৭ বলে ৪০ রান। মারেন তিনটি চার ও সমসংখ্যক ছক্কা। শেফালি ফেরার পরেই দ্রুত ফেরেন জেস জোনাসেন (৯) এবং জেমাইমা রদ্রিগেস (৪)। তবে অন্য দিকে রানের গতি কমাননি ল্যানিং। কিন্তু হরলিনের ইনিংসের পরে হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়লেন ল্যানিং। হারের পরেও ৮ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই রইল দিল্লি।
Source : www.anandabazar.com