India's message to Turkey: তুরস্কের 'শত্রু'-কে পূর্ণ সমর্থন ভারতের, ১ ছবিতেই পাকের বন্ধুর চাপ বাড়ালেন মোদী

হোম

তুরস্কের 'শত্রু'-কে পূর্ণ সমর্থন ভারতের। শুধু তাই নয়, মনও জিতে নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেইসঙ্গে একটা ছবিতেই পাকিস্তানের বন্ধুর অস্বস্তি বাড়ালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। কেন সেই ছবি কেন এতটা গুরুত্বপূর্ণ?

সাইপ্রাসে গিয়ে একটি ছবি তুলেই পাকিস্তানের 'বন্ধু' তুরস্ককে বড় বার্তা দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার নিকোসিয়ায় সাইপ্রাসের প্রেসিডেন্ট নিকোস ক্রিস্টোডুলিডেসের সঙ্গে রাষ্ট্রসংঘের সংঘর্ষবিরতি লাইনে যান। লেফকোসিয়া টাউন হলের ছাদে দাঁড়িয়ে ছবিও তোলেন। আর সেইসময় পিছনে দেখা যাচ্ছিল তুরস্কের অধিকৃত এলাকা। যে তুরস্ক জবরদখল করে রেখেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। (ছবি সৌজন্যে পিটিআই)

টাউন হলের ছাদ থেকে যে এলাকা দেখেন মোদী, তা ১৯৭৪ সাল থেকে তুরস্ক নিয়ে রেখেছে। আসলে ১৯৬০ সালে ব্রিটিশদের থেকে স্বাধীনতা লাভ করলেও দুটি মূল গোষ্ঠীর (গ্রিক সাইপ্রিয়ট এবং তার্কিশ সাইপ্রিয়ট) মধ্যে ক্ষমতা নিয়ে টানাপোড়েন ছিল। তিন বছর পরেই তা হিংসার আকার নিয়েছিল। আর ডাকতে হয়েছিল রাষ্ট্রসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীকে। (ছবি সৌজন্যে পিটিআই)

তারইমধ্যে গ্রিসের সঙ্গে মিশে যাওয়ার জন্য ১৯৭৪ সালের জুলাইয়ে সাইপ্রাস সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টা করে গ্রিক সাইপ্রিয়টরা। সেই পরিস্থিতিতে তার্কিশ সাইপ্রিয়টদের রক্ষার যুক্তি দেখিয়ে অনুপ্রবেশ করেছিল তুরস্ক। জবরদখল করে নেয় দ্বীপের বড় অংশ। পরবর্তীতে নিকোসিয়ায় বৈধ সরকার ফিরে এলেও পুরোপুরি দ্বীপ ছেড়ে যায়নি তুরস্ক। বরং নিজেদের স্বাধীন বলে ঘোষণা করে দেয় উত্তর-পূর্ব অংশ। যে বিষয়টাকে তুরস্কই শুধুমাত্র স্বীকৃতি দিয়েছে। (ছবি সৌজন্যে পিটিআই)

আর সেই পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন ধরেই তুরস্কের সঙ্গে শত্রুতা রয়েছে সাইপ্রাসের। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা ও অপারেশন সিঁদুরের পরে যেভাবে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছিল তুরস্ক এবং ভারতে হামলা চালাতে তুরস্কের পাঠানো ড্রোন ব্যবহার করেছিল ইসলামাবাদ, সেই আবহে মোদীর ছবি কূটনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। (ছবি সৌজন্যে পিটিআই)

তারইমধ্যে সাইপ্রাসের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের পরে মোদী বলেছেন, 'এটা যুদ্ধের যুগ নয়।' সেইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারত যে লড়াই করছে, তার প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন সাইপ্রাসের প্রেসিডেন্ট। পরবর্তীতে যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সন্ত্রাসবাদের প্রতি জিরো টলারেন্স নীতি বজায় রাখার বিষয়ে একমত হয়েছে ভারত এবং সাইপ্রাস। যারা এরকম হামলা চালাবে, তাদের মূল্য চোকাতে হবে বলেও জানানো হয়েছে। (ছবি সৌজন্যে এএফপি)

 

 

Source: bangla.hindustantimes.com


Related News