Ahmedabad Plane Crash Survivor: কাছা পরে ভাইয়ের শেষকৃত্যে রমেশ! কফিন কাঁধে অভিশপ্ত বিমানের একমাত্র জীবিত যাত্রী...

হোম

Plane Crash Survivor Carries Brother's Remains: আমদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফেরা সেই বিশ্বাসকুমার রমেশকে দেখা গেল ভাই অজয়ের শেষকৃত্যে। শরীর অসুস্থ হলেও, কাছা গলায় দাদার কফিন কাঁধে নিলেন তিনি। 

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অভিশপ্ত বিমানে (Air India crash) একইসঙ্গে সওয়ার হয়েছিলেন দুই ভাই। একজন ফিরলেন আর একজনের ফেরা হল না। ২৪১ জনের সঙ্গে শেষ হয়ে গিয়েছে সে। আমদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফেরা সেই বিশ্বাসকুমার রমেশকে (Ramesh Vishwas Kumar) দেখা গেল ভাই অজয়ের শেষকৃত্যে। হাসপাতাল থেকে ফিরে ভেজা চোখে কাছা পরে ভাইয়েকর কফিন কাঁধে রমেশ। ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিয়ো। 

মঙ্গলবার ভোর রাতে ৬ দিনের মাথায় হাসপাতাল ছাড়া পেয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যে তাঁর পরিবারের বাকি সদস্যরা তাঁকে নিয়ে দিউ নিজেদের বাড়ি ফিরে গেছেন। আর ছাড়া পাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই নিজের ভাইয়ের শেষকৃত্যে যোগ দিলেন বিশ্বাস কুমার রমেশ। শেষকৃত্যে তাঁকে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়। ডিএনএ পরীক্ষার পরে বিমান দুর্ঘটনায় মৃত অজয়ের দেহ বুধবার তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। দিউতে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া হয়েছে তাঁর।

সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ভিডিয়ো সামনে এসেছে, তাতে দেখা গিয়েছে, রমেশের কপালে, গালে, কানে ব্যান্ডেজ রয়েছে। সেই অবস্থাতেই কাছা গলায় দাদার কফিন কাঁধে নিয়ে হাঁঁটছেন তিনি। দুর্ঘটনার কবল থেকে বেঁচে যাওয়া রমেশ ছিলেন বিমানের ১১এ সিটে। আর দুর্ঘটনার সময় অজয় বসেছিলেন বিমানের ১১-জে সিটে। বিমান দুর্ঘটনায় নিহত আরও সাত জনের দেহ দিউয়ে ফিরেছে বলে জানা গিয়েছে।

ভারতের উড়ান ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিমান বিপর্যয়। বৃহস্পতিবার আমদাবাদের মেঘানিনগরে টেক অফের ২ মিনিটের মধ্যেই ২৪২ জন যাত্রী নিয়ে ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার AI 171। একজন ছাড়া বাকি সব যাত্রীর মৃত্যু হয়। সেই একজনই বিশ্বাসকুমার রমেশ। AI-171-র 11A সিটের যাত্রী ছিলেন তিনি। বলা হচ্ছে, 11A সিটে বসে থাকার সুবাদেই তিনি আশ্চর্যজনকভাবে এই ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পান।

আমদাবাদের দুর্ঘটনায় রমেশ একাই বেঁচে নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে বলেছিলেন, 'না, আমি ঝাঁপ মারিনি। বিমান ওড়ার মাত্র ৩০ সেকেন্ড পর একটা প্রচণ্ড শব্দ শুনতে পেয়েছিলাম। তার পরেই বিমানটি ভেঙে পড়ে। সব কিছু খুব দ্রুত ঘটে গিয়েছিল।' হাড়হিম সেই ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বিশ্বাসকুমার জানান, 'যখন আমি উঠে দাঁড়ালাম, তখন আমার চারপাশে শুধু লাশ আর লাশ। খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। উঠে দাঁড়িয়ে দৌড়তে শুরু করলাম। চারপাশে বিমানের টুকরো। তখনই কেউ একজন আমাকে ধরে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে হাসপাতালে নিয়ে আসে।'

 

Source: zeenews.india.com


Related News