
পহেলগাঁও কাণ্ডে পাকিস্তানি জঙ্গিদের ঘিরে NIAর হাতে এল কোন তাবড় তথ্য? ‘উপযুক্ত সময়’ জানানোর বার্তা এজেন্সির
পহেলগাঁও কাণ্ডে এনআইএ-র হাতে এল তাবড় তথ্য। কী কী জানা যাচ্ছে? জানা
পহেলগাঁও কাণ্ডের পরই পাকিস্তানের তরফে দাবি করা হয়েছিল, তারা ওই জঙ্গি হানা নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরের তদন্ত চায়। পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ দাবি করেছিলেন, ভারত, প্রমাণ ছাড়াই পাকিস্তানকে ওই জঙ্গি হামলা নিয়ে অভিযুক্ত করছে। এবার সেই ‘প্রমাণ’ দেওয়ার মর্মে পাকিস্তানি জঙ্গিদের ঘিরে বড় আপডেট দিল ‘ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি’ (NIA)।
পহেলগাঁও হামলার ঘটনায় জঙ্গিদের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে সদ্য ২ জনকে সদ্য গ্রেফতার করেছে এনআইএ। তাদের কাছ থেকে জেরাতেই জানা গিয়েছে, পহেলগাঁওতে জঙ্গি হানার মাস্টারমাইন্ড ৩ পাকিস্তানি জঙ্গি। এনআইএ-এখনও এই তিন পাকিস্তানি জঙ্গির নাম প্রকাশ করেনি। তবে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল জানাচ্ছে,‘উপযুক্ত সময়’, এই জঙ্গিদের পরিচয় ও বিস্তারিত জানানো হবে। জল্পনা থেকেই যাচ্ছে যে, তাহলে কি এবার এই পাকিস্তানি জঙ্গিদের ঘিরে কোমর কষতে শুরু করে দিয়েছে দিল্লি?
এনআইএ আরও জানিয়েছে যে সন্ত্রাসীদের পরিচয় এবং স্কেচ সম্পর্কিত মিডিয়া রিপোর্ট বা সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টগুলি ‘অনুমানমূলক প্রকৃতির।’ তবে এই পাকিস্তানি জঙ্গিদের নিয়ে যথেষ্ট প্রমাণ এনআইএ-র হাতে এসে গিয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এজেন্সি বলছে,'সন্ত্রাসীদের পরিচয় সম্পর্কে এনআইএ যথেষ্ট প্রমাণ সংগ্রহ হয়েছে।' কী কী ভাবে প্রমাণ মিলেছে? এসেছে তারও আপডেট।'
এনআইএ বলছে,'এর মধ্যে রয়েছে ভুক্তভোগীদের, প্রত্যক্ষদর্শীর বক্তব্য, ভিডিও ফুটেজ, প্রযুক্তিগত প্রমাণ এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ কর্তৃক প্রকাশিত স্কেচ। এই সমস্ত প্রমাণ সাবধানতার সাথে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে এবং NIA এই পর্যায়ে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছায়নি।' সোমবারই এনআইএ জানিয়েছে,' সন্ত্রাসীদের পরিচয় এবং আরও বিস্তারিত তথ্য উপযুক্ত সময় জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে।'
উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে নৃশংসভাবে খুন করা হয় ২৬ জনকে।। জঙ্গিদের সেই নৃশংস হানার পর ভারত শুরু করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অপারেশন সিঁদুর। পরে দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ বিরতি আসলেও, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী জানিয়েছেন, অপারেশন সিঁদুর থামেনি। এদিকে, পহেলগাঁও কাণ্ডে এনআইএ নামে তদন্তে। ২ মাস পরই এনআইএর হাতে জঙ্গিদের পরিচিতি নিয়ে এসেছে তাবড় তথ্য।
Source: bangla.hindustantimes.com