Trump on Iran: ডিগবাজির পর ডিগবাজি! ইরানে পরমাণু কেন্দ্রে হামলা নিয়ে নিজের কথাই ঠিক রাখতে পারছেন না ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক

প্রথম থেকেই ট্রাম্প বলে এসেছেন, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে আমেরিকা। তবে সম্প্রতি ন্যাটো সম্মেলনে সাংবাদিকদের কাছে এই বিষয়ে সংশয়ের বিষয়টি স্বীকার করেছিলেন ট্রাম্প। তবে এর কয়েক ঘণ্টা পরই ফের নিজের অবস্থান থেকে ডিগবাজি খেলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

ইরানের পরমাণু কাঠামোগুলির ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে আবারও নিজের বক্তব্য পরিবর্তন করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার, মার্কিন প্রেসিডেন্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্ট করে দাবি করেন, পেন্টাগনের ফাঁস হওয়া মূল্যায়নটিকে 'ভুয়াো খবর' বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তবে এরই আগে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা নিয়ে সংশয়ের কথা স্বীকার করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

নেদারল্যান্ডসে ন্যাটো সম্মেলনে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেছেন, এ বিষয়ে পাওয়া গোয়েন্দা তথ্য সুনির্দিষ্ট ছিল না। এরপর ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, 'ইরানে হামলা চালানোর জন্য বোমারু বিমান ওড়ানো মহান আমেরিকান পাইলটরা খুবই হতাশ। শত্রু অঞ্চল দিয়ে বিপজ্জনকভাবে উড়ে যাওয়ার ৩৬ ঘণ্টা পরে তারা আমেরিকায় অবতরণ করেছিলেন। তাঁরা জানত যে তাঁদের সাফল্যটি কিংবদন্তি। তবে দু'দিন পরে তারা সিএনএন এবং দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের ফেক নিউজ পড়তে শুরু করেন।'

এর আগে ইরানের ওপর হামলার পর থেকেই ট্রাম্প দাবি করে এসেছিলেন, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে আমেরিকা। তবে এখন তিনি ধীরে ধীরে অবস্থান বদল করছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে তা সত্ত্বেও সিএনএন এবং নিউ ইয়র্ক টাইমসের রিপোর্টকে ভুয়ো বলে দাবি করেছেন তিনি। উল্লেখ্য, এই দুই সংবাদমাধ্যমের প্রকাশিত রিপোর্টে দাবি করা হয়, পেন্টাগনের গোয়েন্দাদের মূল্যায়ন অনুযায়ী, ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলো পুরোপুরি ধ্বংস হয়নি।

এই আবহে নেদারল্যান্ডসে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, হামলার বিষয়ে গোয়েন্দা তথ্য 'অসম্পূর্ণ'। ইরানের পরমাণু কর্মসূচিতে ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে সন্দেহ তৈরি হওয়ার প্রেক্ষাপটে ট্রাম্প বলেন, পেন্টাগনে প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ একটি সংবাদ সম্মেলন করবেন। তবে এর কয়েক ঘণ্টা পরই ট্রুথ সোশ্যালে ফের নিজের পুরনো অবস্থানে ফিরে গেলেন ট্রাম্প। সঙ্গে তিনি দাবি করেন, হেগসেথের সাংবাদিক সম্মেলনে এই ভুয়ো দাবি খারিজ করে প্রমাণ তুলে ধরা হবে।

এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, মার্কিন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার (ডিআইএ) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা মাত্র কয়েক মাস পিছিয়ে গেছে মার্কিন হামলায়। তা পুরোপুরি নির্মূল করা হয়নি। মূল্যায়ন অনুসারে, ২২ জুনের হামলায় ফোরদো, নাতাঞ্জ এবং ইসফাহানের সাইটগুলিতে যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে। তবে ইরানের পারমাণবিক পরিকাঠামো মূলত অক্ষত রয়েছে।

 

Source: bangla.hindustantimes.com


Related News