Chinmoy Krishna Das Prabhu Latest Update: চিন্ময় প্রভুকে 'শেষ' করে দেওয়ার চক্রান্ত করছে ইউনুসের পুলিশ? এল নয়া আপডেট

হোম

২০২৪ সালের ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রামের আদালতে বাইরে হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেকে জড়ো হয়েছিলেন চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতারির প্রতিবাদ জানাতে। সেই জনতার ওপর নির্বিচারে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। এদিকে সেই সংঘর্ষে এক আইনজীবী খুন হন। আর সেই মামলায় এবার মূল অভিযুক্ত চিন্ময় প্রভু।

চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যাকাণ্ডের অভিযোগপত্রে এবার মূল অভিযুক্ত হিসেবে নাম দেওয়া হল হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভুর। এই আবহে আশঙ্কা করা হচ্ছে, চিন্ময় প্রভুকে কোনও ভাবেই মুক্তি না দেওয়ার জন্যেই এই ছক কষেছে সরকার পক্ষ। এই আবহে বাংলাদেশি হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রশ্ন, চিন্ময় প্রভু তো সেই সময় গ্রেফতার হয়েছেন। তিনি ছিলেন প্রিজন ভ্যানে। তাহলে খুনে মূল অভিযুক্ত তাঁকে কীভাবে করা হল? আর সরকার পক্ষের বক্তব্য, চিন্ময় প্রভুর উস্কানিতেই নাকি খুন করা হয়েছিল আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে।

মামলার তদন্তকারী আধিকারিক চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান মঙ্গলবার চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ আদালতে যে অভিযোগপত্র জমা দেন, তাতে ৩৮ জনকে অভিযুক্ত হিসেবে দেখানো হয়েছে। আর মামলার প্রধান অভিযুক্ত চিন্ময় প্রভু। এদিকে প্রাথমিক ভাবে এই মামলায় যে ৩১ জনের নাম ছিল, তাদের মধ্যে ৩ জনকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করেছে পুলিশ। এদিকে চিন্ময় প্রভুকে মূল অভিযুক্ত করার বিষয়ে তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকের দাবি, ঘটনাক দিন চিন্ময় প্রভু উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছিলেন। তাই অভিযুক্তরা আইনজীবীকে হত্যা করেছিল।

এর আগে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ম প্রভুকে জামিন দিয়েছিল বাংলাদেশ হাইকোর্ট। তবে চেম্বার কোর্টে সেই জামিন খারিজ হয়ে গিয়েছিল। পরে চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম হত্যা মামলায় চিন্ময় প্রভুকে গ্রেফতার দেখানোর নির্দেশ দেয় চট্টগ্রামের ষষ্ঠ মহানগর হাকিম। এরই মাঝে এবার সেই খুনের মামলায় চিন্ময় প্রভুকে মূল অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিল পুলিশ।

প্রসঙ্গত, গত ২০২৪ সালের ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে সমাবেশ করেছিল বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ। সেই সমাবেশে ভাষণ দিয়েছিলেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুও। সেই সমাবেশেই নাকি তিনি বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননা করেছিলেন। এই অভিযোগেই চট্টগ্রামে একটি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন বিএনপি নেতা ফিরোজ খান। গত ৩১ অক্টোবর চিন্ময় দাস-সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন সেই নেতা।

সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই ২০২৪ সালের ২৫ নভেম্বর ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুকে গ্রেফতার করে ঢাকা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা। এরপর তাঁকে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রামের আদালতে বাইরে হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেকে জড়ো হয়েছিলেন চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতারির প্রতিবাদ জানাতে। সেই জনতার ওপর নির্বিচারে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছিল।

এদিকে সেই সংঘর্ষে এক আইনজীবী খুন হন। সেই খুনের ঘটনায় সব মিলিয়ে প্রাথমিক ভাবে ৩১ জন হিন্দুকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এদিকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের হয়ে কোনও আইনজীবী যাতে মামলা না লড়েন, তার জন্যে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করারও অভিযোগ উঠেছিল। আর সম্প্রতি চিন্ময় প্রভুকে সেই মামলায় গ্রেফতার করা হয়। এবার পুলিশ বলছেন, তিনিই নাকি মূল অভিযুক্ত এই মামলায়।

 

Source: bangla.hindustantimes.com


Related News