Donald Trump Ceasefire Announcement: ভারত-পাক, ইরান-ইজরায়েলের পর আরও এক সংঘর্ষবিরতি করানোর দাবি ট্রানম্পের

আন্তর্জাতিক

এর আগে ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে সংঘর্ষবিরতি ‘ঘোষণা’ করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তারও আগে ভারত-পাক সংঘর্ষেও মধ্যস্থতার দাবি করেছিলেন তিনি। এহেন ট্রাম্প এবার গাজায় ইজরায়েল যুদ্ধে সংঘর্ষবিরতির ঘোষণা করলেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, গাজায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে ইজরায়েল। এই প্রস্তাবকে গাজায় রক্তক্ষয়ী সংঘাত সাময়িকভাবে থামানোর ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসাবে দেখা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত গাজায় ৫৮ হাজারেরও বেশি প্যালিস্তিনীয় প্রাণ হারিয়েছেন এই যুদ্ধে।

নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম 'ট্রুথ সোশ্যাল'-এর মাধ্যমে ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করে লেখেন, গাজা নিয়ে ইজরায়েলি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমার প্রতিনিধিদের দীর্ঘ ও ফলপ্রসূ বৈঠক হয়েছে। ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির জন্য প্রয়োজনীয় শর্ত মেনে নিয়েছে ইজরায়েল। এখন আমরা এই যুদ্ধ স্থায়ীভাবে শেষ করতে সব পক্ষের সঙ্গে কাজ করব। হামাসের এই প্রস্তাব গ্রহণ করা উচিত, কারণ এর চেয়ে ভালো সুযোগ আর নেই। ভবিষ্যতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।

ট্রাম্প এই প্রক্রিয়ায় কাতার ও মিশরের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, যুদ্ধবিরতির চূড়ান্ত প্রস্তাব এই দুই দেশ হামাসের কাছে জমা দেবে। যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব অনুযায়ী, দুই পক্ষের মধ্যে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি থাকবে, যা স্থায়ী সমাধানসূত্র খুঁজতে আলোচনার সুযোগ দেবে এবং গাজায় মানবিক ত্রাণ সরবরাহের সুযোগ দেবে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস জঙ্গিরা ইজরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালিয়ে ১২০০ জনকে হত্যা ও ২৫০ জনেরও বেশি মানুষকে অপহরণ করার পর এই সংঘাত শুরু হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় ইজরায়েল গাজা উপত্যকায় ভয়াবহ সামরিক অভিযান শুরু করেছিল, যাতে এ পর্যন্ত হাজার হাজার সাধারণ মানুষ, এমনকী নারী ও শিশু নিহত হয়েছে। গাজার সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ এখন মৌলিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত এবং মানবিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি।

এদিকে হামাস চায় ইজরায়েল গাজা থেকে পুরোপুরি সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করুক, ত্রাণ সামগ্রী অবাধ প্রবেশাধিকার দিক এবং আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ নিশ্চিত করুক। একই সঙ্গে ইজরায়েলের অগ্রাধিকার হচ্ছে অপহৃতদের নিরাপদ মুক্তি এবং হামাসের সামরিক পরিকাঠামো ধ্বংস করা। এই আবহে কাতার ও মিশরের প্রতিনিধিরা শিগগিরই হামাস নেতৃত্বের কাছে চূড়ান্ত প্রস্তাব পেশ করবেন। হামাস যদি প্রস্তাবটি গ্রহণ করে, তাহলে এটি এই দীর্ঘ সহিংসতায় প্রথম বড় ধরনের শান্তি উদ্যোগ হবে।

 

Source: bangla.hindustantimes.com


Related News