
IND vs ENG Test Records: ৮৪/৫, ৩০৩ রানের জুটি, ২০/৫- নাটকীয় তৃতীয় দিনে ১৮ নজির এজবাস্টনে, অনেক এগিয়ে ভারত
পাঁচ উইকেটে ৮৪ রান থেকে পাঁচ উইকেটে ৩৮৭ রান - ষষ্ঠ উইকেটে হ্যারি ব্রুক এবং জেমি স্মিথের ৩৬৮ বলে ৩০৩ রানের অবিশ্বাস্য জুটির সুবাদে এজবাস্টন টেস্টে নিজেদের আশা জিইয়ে রাখল ইংল্যান্ড। একটা সময় মনে হয়েছিল যে প্রথম ইনিংসে বড় লিড পাবে ভারত। কিন্তু ২৩৪ বলে ব্রুকের ১৫৮ রান এবং ২০৭ বলে স্মিথের অপরাজিত ১৮৪ রানের সুবাদে বিশাল চাপে পড়ে যান শুভমন গিলরা। কিন্তু দ্বিতীয় নয়া বলেই ভাগ্য ফেরে ভারতের। নয়া বলে মাত্র ৩১ রান খরচ করে শেষ পাঁচ উইকেট তুলে নেয়। ২০ রানে শেষ পাঁচ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। অল-আউট হয়ে যায় ৪০৭ রানে। ১৮০ রানের লিড নিয়ে ব্যাটিং করতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের স্কোর দাঁড়িয়েছে এক উইকেটে ৬৪ রান। আপাতত ২৪৪ রানে এগিয়ে আছে ভারত। ক্রিজে আছেন কেএল রাহুল (২৮ রান) এবং করুণ নায়ার (সাত রান)।
আর ভারত যে সেই জায়গায় আছে, সেটার নেপথ্যে আছেন মহম্মদ সিরাজ এবং আকাশদীপ। ১৯.৩ ওভারে ৭০ রান দিয়ে ছয় উইকেট নেন সিরাজ। যিনি জসপ্রীত বুমরাহ না থাকলে যেন বাড়তি জ্বলে ওঠেন। টেস্টে সিরাজ যে চারবার পাঁচ বা তার বেশি উইকেট নিয়েছেন, তার তিনটিই এসেছে বুমরাহের অনুস্থিতিতে। অন্যদিকে ৮৮ রানে চারটি উইকেট নিয়েছেন আকাশদীপ। তিনিই ব্রুক এবং স্মিথের ৩০৩ রানের জুটি ভাঙেন।
তৃতীয় দিনে এজবাস্টনে কী কী রেকর্ড তৈরি হল?
১) এই প্রথমবার ইংল্যান্ডে টেস্টের এক ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিলেন সিরাজ। সার্বিকভাবে সিরাজের টেস্ট কেরিয়ারের দ্বিতীয় সেরা বোলিং ফিগার।
২) টেস্টে সেরা বোলিং ফিগার হয়ে গেল আকাশদীপের। এতদিন তাঁর সেরা বোলিং ফিগার ছিল - ৮৩ রানে তিন উইকেট।
৩) ছয়জন ব্যাটার শূন্য রান করেননি, তারপরও ৪০০ রানের বেশি তোলার নজির গড়ল ইংল্যান্ড। ইতিহাসে প্রথম দল হিসেবে সেই নজির গড়েছে। শূন্য রানে আউট হয়েছেন বেন ডাকেট, ওলি পোপ, বেন স্টোকস, ব্রাইডস কার্স, জোশ টাঙ্গ এবং শোয়েব বশির।
৪) ষষ্ঠ উইকেটে ইংল্যান্ডের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটি গড়লেন ব্রুক ও স্মিথ।
৫) ভারতের বিরুদ্ধে তৃতীয়বার যে কোনও উইকেটে ৩০০ রানের বেশি জুটি হল। ২০১১ সালে ওভালে ৩৫০ রানের জুটি গড়েছিলেন ইয়ান বেল এবং কেভিন পিটারসেন। আর ১৯৯০ সালে লর্ডসে ৩০৩ রান যোগ করেছিলেন গ্রাহাম গুচ এবং অ্যালান ল্যাম্ব।
৬) ইংল্যান্ডের হয়ে ষষ্ঠ বা তার পরের উইকেটে তৃতীয়বার ৩০০ বা তার বেশি রানের জুটি গড়লেন ব্রুক এবং স্মিথ। প্রথমেই আছেন বেন স্টোকস এবং জনি বেয়ারস্টো। ২০১৬ সালে কেপ টাউনে ৩৯৯ রান করেছিলেন তাঁরা। ২০১০ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩৩২ রান যোগ করেছিলেন জোনাথন ট্রট এবং স্টুয়ার্ট ব্রড।
৭) ইংল্যান্ডের টেস্টে ১০০ রান থেকে ১৫০ রানের ইনিংসে পরিণত করার হার (ন্যূনতম ৯টি শতরান): তৃতীয় স্থানে উঠে এলেন ব্রুক। ন'টি শতরানের ক্ষেত্রে পাঁচবার পেরিয়েছেন ১৫০ রানের গণ্ডি।
৮) ১০০ রানের নীচে প্রথম পাঁচটি উইকেট হারানোর পরে দ্বিতীয়বার টেস্টে ৪০০ রানের গণ্ডি পার করল ইংল্যান্ড। ২০১০ সালে লর্ডসে পাকিস্তানের বিরদ্ধে পাকিস্তানের স্কোর ছিল পাঁচ উইকেটে ৪৭ রান। সেখান থেকে ৪৪৬ রান তুলেছিল ইংল্যান্ড।
৯) এই প্রথমবার টেস্টে ‘গোল্ডেন ডাক’-র মুখে পড়লেন স্টোকস। অর্থাৎ প্রথম বলেই আউট হয়ে গিয়েছেন।
একই টেস্ট ইনিংসে ৩টি ‘ডাক’ ও ২টি ১৫০-র বেশি রান
১) ইংল্যান্ড বনাম অস্ট্রেলিয়া, মেলবোর্ন, ১৯১১-১২ সাল।
২) ইংল্যান্ড বনাম পাকিস্তান, লর্ডস, ২০১০ সাল।
৩) দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম অস্ট্রেলিয়া, পার্থ, ২০১২-১৩ সাল।
৪) আফগানিস্তান বনাম জিম্বাবোয়ে, বুলাওয়া, ২০২৪ সাল।
৫) ইংল্যান্ড বনাম ভারত, এজবাস্টন, ২০২৫ সাল।
Source: bangla.hindustantimes.com