Bangladeshi Girl Raped by 200 in India: ১৪ বছর বয়সি বাংলাদেশিকে মহারাষ্ট্রে ধর্ষণ ২০০ জনের, ধৃত ওপার বাংলার একাধিক দালাল

হোম

পালঘরের অভিযানের পর ধৃতদের মধ্যে মূল অভিযুক্ত মহম্মদ খালিদ আব্দুল ব্যপারীর (৩৩) বিরুদ্ধে বিভিন্ন শহরে নারী পাচার করার অভিযোগ রয়েছে। জুবের হারুন শেখ (৩৮) ও শামিম গাফর সরদার (৩৯) নামক দুই দালালকেও ধরা হয়েছে।

১৪ বছর বয়সি এক বাংলাদেশি নাবালিকাকে মহারাষ্ট্রের সেক্স ব়্যাকেট থেকে উদ্ধার করা হল। অভিযোগ, গত ৩ মাসে নাকি ২০০ জন ব্যক্তি তাকে ধর্ষণ এবং যৌন হেনস্থা করেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, স্কুলে একটি বিষয়ে ফেল করার পরে সেই নাবালিকা বাংলাদেশে নিজের বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ভারতের সীমান্তের এপারে একটি যৌন ব়্যাকেটে জড়িয়ে পড়ে সে।

এই আবহে গত তিন মাসে মহারাষ্ট্রে ২০০ জন পুরুষ তাকে যৌন নির্যাতন করেছে। সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে সেই ১৪ বছর বয়সি নাবালিকাকে। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, সেই বাংলাদেশি নির্যাতিতার বয়ান খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্তও শুরু করেছে। এই আবহে ১০ জনকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতারও করা হয়েছে এই মামলায়।

এক্সোডাস রোড ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন এবং হারমনি ফাউন্ডেশনের যৌথ অভিযানে মীরা-ভায়ান্দার ভাসাই-ভিরার পুলিশের অ্যান্টি হিউম্যান ট্র্যাফিকিং ইউনিট (এএইচটিইউ) মেয়েটিকে উদ্ধার করে। গত ২৬ জুলাই ভাসাইয়ের নাইগাঁওয়ের একটি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে তাকে উদ্ধার করা হয়েছিল।

এদিকে এখনও পর্যন্ত যে ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ৬ জন বাংলাদেশি। এই নির্যাতিতাও ১০ জনের মধ্যে একজন ছিলেন। এছাড়া পাচার হওয়া আরও ২ জন বাংলাদেশি ছিল সেই ধৃতদের মধ্যে। পরে পুলিশ জানতে পারে, তাকে বি মুম্বই, পুনে, গুজরাট এবং কর্ণাটকে পাচার করা হয়েছিল বিভিন্ন সময়।

জানা গিয়েছে, বাড়ি থেকে পালানোর পর সেই নির্যাতিতার পরিচিত এক নারী তাকে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে ঢুকতে বাধ্য করে। এরপর তাকে দেহ ব্যবসায় ঠেলে দেওয়া হয়েছিল। পুলিশ আধিকারিকরা আরও জানিয়েছেন, মেয়েটিকে অকাল বয়ঃসন্ধিকালে প্ররোচিত করার জন্য হরমোনাল ইনজেকশন দেওয়া হয়ে থাকতে পারে এবং তাকে পালাতে না দেওয়ার জন্য ঘুমের ওষুধ দেওয়া হয়ে থাকতে পারে।

পালঘরের অভিযানের পর ধৃতদের মধ্যে মূল অভিযুক্ত মহম্মদ খালিদ আব্দুল ব্যপারীর (৩৩) বিরুদ্ধে বিভিন্ন শহরে নারী পাচার করার অভিযোগ রয়েছে। জুবের হারুন শেখ (৩৮) ও শামিম গাফর সরদার (৩৯) নামক দুই দালালকেও ধরা হয়েছে। এই আবহে একটি বৃহত্তর চক্র উন্মোচনের চেষ্টা চলছে। এমবিভিভির পুলিশ প্রধান নিকেত কৌশিক জানিয়েছেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় দল পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, গত ২৭ জুলাই ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, অনৈতিক পাচার (প্রতিরোধ) আইন, পকসো আইন, জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্ট, ফরেনার্স অ্যাক্ট এবং পাসপোর্ট আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

 

 

Source: bangla.hindustantimes.com


Related News