
China on Trump & US Tariff: শুল্ক নিয়ে ট্রাম্পের দাদাগিরি! জয়শঙ্করকে আমেরিকাকে নিয়ে কী বললেন চিনা বিদেশমন্ত্রী?
কতকটা আমেরিকার জন্যই ভারত এবং চিন ফের কাছাকাছি চলে এসেছে। গালওয়ান সংঘর্ষের পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে দূরত্ব বেড়েছিল। তবে সীমান্ত সমস্যা মেটানোর জন্য দুই দেশই উদ্যোগী হয়েছে। এই আবহে পারস্পরিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও ইতিবাচক পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে ভারত এবং চিন।
গালওয়ান সংঘর্ষের পাঁচবছর পর ফের কাছাকাছি ভারত-চিন। এবং এই অসাধ্য সাধন হয়েছে আমেরিকার জন্যে। ট্রাম্পের শুল্ক নীতির কারণে ইতিমধ্যেই ভারতের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে আমেরিকার। দীর্ঘ আড়াই দশক ধরে ধীরে ধীরে যে আস্থা দুই দেশের মধ্যে গড়ে উঠেছিল, তা ভেঙেছে। এই আবহে সীমান্ত সমস্যা মিটিয়ে দুই প্রতিবেশী হাত মেলাচ্ছে।
এই আবহে সফররত চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই সোমবার বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে দেখা করেন। মোটের ওপর জয়শঙ্কর এবং ওয়াংয়ের আলোচনা সৌহার্দ্যপূর্ণ ছিল। এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক নীতি নিয়ে উভয় পক্ষেরই মত, ভারত ও চিনকে আরও কাছাকাছি আসতে হবে। এই আবহে আরআইসি (রাশিয়া, ভারত, চিন) জোট নিয়ে জল্পনা ফের বেড়েছে।
চিনের বিদেশ মন্ত্রকের এক বিবৃতি অনুযায়ী, এস জয়শঙ্করকে ওয়াং বলেছেন, 'চিনা বিদেশ একতরফা গুন্ডামি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে এবং মুক্ত বাণিজ্য এবং আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা গুরুতর চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি।' বিবৃতে আরও বলা হয়েছে, '২.৮ বিলিয়নেরও বেশি জনসংখ্যার দুটি বৃহত্তম উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে চিন এবং ভারতের উচিত বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ এবং দায়িত্ববোধ প্রদর্শন করা। উন্নয়নশীল দেশগুলির জন্য ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী হওয়ার জন্য একটি উদাহরণ স্থাপন করা উচিত আমাদের দুই দেশের। বহুমেরু বিশ্ব এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের গণতন্ত্রীকরণের প্রচারে অবদান রাখা উচিত আমাদের।'
সাধারণত মনে করা হচ্ছিল, মার্কিন নীতি ও সিদ্ধান্তগুলি ভারত ও চিন উভয়কেই নিশানা করবে। তবে এর মাঝে ভারতের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক চাপিয়েছে আমেরিকা। এদিকে চিনের ওপর শুল্ক কার্যকরের সময়সীমা ৯০ দিন পিছিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প। এর মাঝে এবার ভারতকে সার, টিবিএম এবং রেয়ার আর্থ সরবরাহ করতে রাজি হয়েছে চিন।
এদিকে ওয়াং জানান, ভারতকে সার, রেয়ার আর্থ খনিজ এবং টানেল বোরিং মেশিন (টিবিএম) সরবরাহ পুনরায় শুরু করবে চিন। এর আগে গত মাসে চিন সফরের সময় বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই'র সঙ্গে ইউরিয়া, এনপিকে ও ডিএপি, রেয়ার আর্থ মিনারেলস এবং টিবিএম সরবরাহের বিষয়টি উত্থাপন করেছিলেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর।
এর আগে বেজিং প্রায় এক বছর ধরে ভারতে রফতানি বন্ধ রেখেছিল। তার আগে চিন ভারতে কৃষির জন্য প্রায় ৩০ শতাংশ সার, অটো পার্টসের জন্য রেয়ার আর্থ এবং সড়ক ও নগর পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য টানেল বোরিং মেশিন সরবরাহ করত। ফের এই বস্তুগুলি ভারতে রফতানি শুরু করতে চলেছে চিন। যা ভারতের অর্থনীতির জন্য সুখবর।
Source: bangla.hindustantimes.com