
দাদার অনুসরণকারী! শীঘ্রই রাজনীতির ময়দানে অভিষেক? বড় ইঙ্গিত ইরফানের
ক্রিকেটের ময়দানে ব্যাট-বল হাতে একসময় প্রতিপক্ষকে ঘাম ছুটিয়েছেন। ভারতীয় ক্রিকেটের সেই অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার আবারও খবরের শিরোনামে। তবে এবার আলোচনার কেন্দ্র ক্রিকেট নয়, রাজনীতি। ইতিমধ্যেই দাদা ইউসুফ পাঠান রাজনীতির ময়দানে পা রেখেছেন। তৃণমূলের টিকিটে নির্বাচনে দাঁড়িয়ে সাংসদ হয়েছেন এক সময়ের বিগ হিটার।আর তারপর থেকেই প্রশ্ন উঠছে, এবার কী ইরফান পাঠানও সেই পথে অনুসরণ করবেন?
লোকসভা নির্বাচনে বহরমপুর আসনে দাঁড়িয়ে কংগ্রেসের হেভিওয়েট প্রার্থী অধীররঞ্জন চৌধুরীকে ধরাশায়ী করে দিয়েছেন ইউসুফ পাঠান। এবার কী তবে দাদার দেখানো পথে হাঁটা লাগাবেন ইরফান?তারপর থেকেই প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটারকে বেশ কয়েকবার এই প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রাজনীতির প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন টি-২০ বিশ্বকাপজয়ী তারকা অলরাউন্ডার।এক প্রশ্নের জবাবে মজার ছলে ইরফান বলেন, 'আপনার কী মনে হয়? আমার রাজনীতিতে আসা উচিত?' এরপর তিনি আরও স্পষ্ট করে বলেন, 'আমি নিজের জীবনে যে কাজ করি, বর্তমানে হোক বা ভবিষ্যতে, পার্থক্য গড়ার জন্যই করব। যদি পার্থক্য গড়তে না পারি, তাহলে করবই না।' অর্থাৎ রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার বিষয়টি একেবারে উড়িয়ে দেননি তারকা অলরাউন্ডার।তবে রাজনীতির মাধ্যমে তিনি কাজ করার সুযোগ না পেলে হয়তো নতুন ইনিংস শুরু করবেন না।ফলে ভক্তদের ধারণা আরও জোরালো হচ্ছে-খুব শীঘ্রই হয়তো ভাই, বড় দাদার পথে হাঁটতে চলেছেন।এখন দেখার পালা, মাঠের পর এবার কি রাজনীতির ময়দানে দেখা যায় কিনা এই জুটিকে।
ইরফান পাঠানের অভিষেক
২০০৩ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে ইরফান পাঠানের। তাঁর বোলিং অ্যাকশন দেখে অনেকেই পাকিস্তানের কিংবদন্তি বোলার ওয়াসিম আক্রমের সঙ্গে তুলনা করতেন। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ২০০৬ সালের করাচি টেস্টে হ্যাটট্রিক করেছিলেন পাঠান।ভারতের ২০০৭-র টি-২০ বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন ইরফান। কেরিয়ার জুড়ে দেশের হয়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ জয় এনে দিয়েছেন। পাঠান মোট ২৯ টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন। ১২০টি ওয়ানডে ও ২৪টি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলেছেন। ৩০১টি আন্তর্জাতিক উইকেটের মালিক তিনি। ২০২০ সালে পাঠান অবসর গ্রহণ করেন। অন্যদিকে, দাদা ইউসুফ পাঠানও ছিলেন ২০১১ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপজয়ী দলে। শচীন তেণ্ডুলকরকে কাঁধে তুলে মাঠ প্রদক্ষিণ করার সেই ঐতিহাসিক মুহূর্ত আজও অমর। তবে ক্রিকেট থেকে বিদায় নেওয়ার পর ইউসুফ সক্রিয় রাজনীতিতে পা রেখেছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে বহরমপুর থেকে প্রার্থী হয়ে অধীররঞ্জন চৌধুরীকে হারিয়ে বাজিমাত করেছেন। সাংসদ হওয়ার পর সংসদ কক্ষেও নিয়মিত উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছে ইউসুফকে।
Source: bangla.hindustantimes.com