2 Earthquakes in Himachal Pradesh: জোড়া ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল হিমাচল, এক ঘণ্টায় দু'বার কম্পন চম্বায়

হোম

হিমাচলের চম্বায় জোড়া ভূমিকম্প ভোরে। এক ঘণ্টায় দু'বার কম্পন অনুভূত হয়েছে। ভোররাত ৩টা ২৭ মিনিটে ৩.৩ মাত্রার প্রথম ভূমিকম্প এবং ৪.০ মাত্রার দ্বিতীয় ভূমিকম্পটি হয় ভোর ৪টা ৩৯ মিনিটে। বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি না হলেও মানুষ আতঙ্কে রয়েছে।

বুধবার ভোরে হিমাচল প্রদেশের চাম্বা জেলায় প্রকৃতি দেখাল তার ভয়ঙ্কর রূপ। এক ঘণ্টার ব্যবধানে দু'বার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল সেই স্থান। এর জেরে স্থানীয়রা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি (এনসিএস) জানিয়েছে, ভোর ৩টা ২৭ মিনিটে প্রথম ভূমিকম্প হয়, রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৩.৩। এর ঠিক এক ঘণ্টা পর ভোর ৪টা ৩৯ মিনিটে ৪.০ মাত্রার আরওকটি শক্তিশালী কম্পন অনুভূত হয় সেখানে।

ভোর ৩টে ২৭ মিনিটে প্রথম ভূমিকম্পের তীব্রতা কম থাকলেও চাম্বায় বহু মানুষকে ঘুম ভেঙে গিয়েছিল তাতে। এনসিএস জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল চাম্বায়, ৩২.৮৭ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৭৬.০৯ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কম্পন মৃদু হলেও কিছুক্ষণের জন্য আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি ছিল।

এদিকে প্রথম ভূমিকম্পের পর মানুষজন তখনও থিতু হয়ে উঠতে পারেনি, এরই মধ্যে ভোর ৪টা ৩৯ মিনিটে আরও একটি শক্তিশালী কম্পন অনুভূত হয় সেখানে। এবার রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৪.০। এই ধাক্কা আগের চেয়ে আরও শক্তিশালী ছিল, যার ফলে চাম্বার অনেক এলাকায় লোকজন তাদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন।

অবশ্য এখনও পর্যন্ত চাম্বায় বড় ধরনের কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে প্রশাসন ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। এই জোড়া কম্পন হিমাচল প্রদেশের সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক দুর্যোগের স্মৃতি ফিরিয়ে এনেছে। সম্প্রতি কুলুর লাঘাটি এলাকায় মেঘভাঙা বৃষ্টির ঘটনায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চলেছিল।

এই আবহে ডেপুটি কমিশনার তোরুল এস রবীশ জানিয়েছিলেন, ভূতনাথ ব্রিজের কাছে একটি রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, হনুমণি বাগের একটি সেতু ভেসে গিয়েছিল এবং একটি শ্মশানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এছাড়া দুটি দোকান, দুটি সবজির দোকান ও একটি বসতঘর এই দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে রোপরি ভুতি ব্রিজও।

চলতি বছর হিমাচল প্রদেশে বর্ষা বিপর্যয় ডেকে এনেছে। হিমাচল প্রদেশ রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (এইচপিএসডিএমএ) একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ২০ জুন থেকে বৃষ্টিজনিত ঘটনায় ২৭৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে ভূমিধস, আকস্মিক বন্যা, মেঘভাঙা ও পানিতে ডুবে ১৪৩ জন এবং বৃষ্টির কারণে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তা ছাড়া বর্ষা হিমাচলের অর্থনীতিকেও গভীরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এইচপিএসডিএমএ অনুসারে, সরকারী ও বেসরকারী সম্পত্তি, কৃষি, উদ্যানপালন এবং পরিকাঠামোর আনুমানিক ক্ষতির পরিমাণ ২,২১১.৬৪ কোটি টাকা।

 

 

Source: bangla.hindustantimes.com


Related News