ভোটার হেরফের নিয়ে গবেষণায় কে টাকা দিয়েছে? CSDS-কে নোটিশ পাঠাল ICSSR

হোম

ভোটার সংখ্যায় হেরফের নিয়ে পোস্ট করে পরে তা মুছে দিয়েছেন সিএসডিএস-এর সঞ্জয় কুমার। চেয়েছেন ক্ষমা। তবে এরই মাঝে এবার CSDS-কে নোটিশ পাঠাল ICSSR। এই গবেষণা করতে কোথা থেকে টাকা পেয়েছে সিএসডিএস, তা জানতে চাওয়া হল।

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে মহারাষ্ট্রে ভোটার তথ্য নিয়ে অসামঞ্জস্যের দাবি করেছিল সিএসডিএস নামক একটি সংস্থা। বুধবার সেই সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অফ ডেভেলপিং সোসাইটিজ (সিএসডিএস)-কে কারণ দর্শানোর নোটিস জারি করেছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ সোশ্যাল সায়েন্স রিসার্চ (আইসিএসএসআর)। নির্বাচন কমিশনের স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (এসআইআর) এবং মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে সমীক্ষার জন্য প্রাপ্ত অর্থের উৎস প্রকাশ করতে বলেছে কাউন্সিল।

সিএসডিএসের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করে আইসিএসএসআর বলেছে যে প্রতিষ্ঠানটি ইচ্ছাকৃতভাবে তথ্য বিকৃত করে নির্বাচন কমিশনের মতো একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের বিশ্বাসযোগ্যতা হ্রাস করার চেষ্টা করেছে। এদিকে, নাগপুর ও নাসিক পুলিশ প্রখ্যাত সেফোলজিস্ট সঞ্জয় কুমারের বিরুদ্ধে দুটি পৃথক এফআইআর দায়ের করেছে।

মহারাষ্ট্রের দুটি বিধানসভা আসনে ভোটার সংখ্যায় বিপুল হেরফের হয়েছে বলে বিভ্রান্তিকর দাবি করেছিল সঞ্জয়ের সংস্থা। এই আবহে নাগপুর গ্রামীণ পুলিশ রামটেক ও হিঙ্গনা বিধানসভা কেন্দ্র সম্পর্কে ভুয়ো তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে এফআইআর দায়ের করেছে। নাসিক শহরের সরকারওয়াড়া থানায় সঞ্জয় কুমারের বিরুদ্ধে এফআইআরও দায়ের করা হয়েছিল। নায়েব তহসিলদার এই অভিযোগ করেছেন।

অভিযুক্ত সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে ভারতীয় বিচারবিধির ১৭৫ (নির্বাচন সংক্রান্ত মিথ্যা বিবৃতি), ৩৫৩ (১)(বি) (জনসাধারণের উপদ্রব সৃষ্টিকারী বিবৃতি), ২১২ (সরকারি কর্মচারীকে মিথ্যা তথ্য দেওয়া) এবং ৩৪০ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদিকে এই সবের মাঝে আইসিএসএসআর সাত দিনের মধ্যে সিএসডিএসের কাছে জবাব চেয়েছে এবং বেশ কয়েকটি অনিয়ম তুলে ধরেছে।

নিয়ম লঙ্ঘন করে সংস্থায় নিয়োগ, গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান নির্বাচন না করা, ডিরেক্টর নিয়োগের অস্বচ্ছ প্রক্রিয়া, এফসিআরএ তহবিল প্রকাশ না করা, সিএজি/এজি দ্বারা বার্ষিক অ্যাকাউন্টের পরীক্ষা না করানো এবং সরকারি আবাসনে বসবাসকারী কর্মচারীদের এইচআরএ প্রদান সম্পর্কিত বিষয়ে জবাব চেয়েছে আইসিএসএসআর। কাউন্সিল হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে যদি কোনও ব্যাখ্যা না দেওয়া হয় তবে অনুদান প্রত্যাহারের জন্যও ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।

প্রসঙ্গত, ১১ আগস্ট করা একটি পোস্টে সঞ্জয় কুমার দাবি করেছিলেন যে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় রামটেক ও দেওয়ালি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছিল বিধানসভা নির্বাচনের সময়। পরে তিনি পোস্টটি মুছে ফেলেন এবং ক্ষমা চেয়ে বলেন, 'ডেটা টিমের ভুলের কারণে ডেটা ভুলভাবে পড়া হয়েছিল, আমার উদ্দেশ্য কাউকে বিভ্রান্ত করার ছিল না।'

 

Source: bangla.hindustantimes.com


Related News