India-China LAC Dispute Talk: অরুণাচলের কাছেই বায়ুসেনা ঘাঁটিতে নির্মাণকাজ চিনের, এরই মাঝে LAC নিয়ে আলোচনা ভারতের সঙ্গে

হোম

শি জিনপিং সম্প্রতি ভারত ও চিনের সম্পর্কের প্রশংসা করেছিলেন এবং 'ড্রাগন ও হাতি'কে একসঙ্গে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তবে এই সবের মাঝেও সীমান্ত লাগোয়া অঞ্চলে চিন যেন যুদ্ধ প্রস্তুতি নিচ্ছে।

চলমান সীমান্ত বিরোধ নিয়ে ভারত ও চিনের মধ্যে সদ্য আলোচনা হয়েছে বলে বুধবার জানিয়েছে চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এক প্রেস ব্রিফিংয়ে চিনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সীমান্তের পশ্চিমাঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে উভয় সামরিক বাহিনী 'সক্রিয় ও গভীর যোগাযোগ' বজায় রেখেছে। চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উভয় পক্ষই সামরিক ও কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে যোগাযোগ ও সংলাপ অব্যাহত রাখতে সম্মত হয়েছে। এদিকে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক এখনও এই নিয়ে কোনও বিবৃতি জারি না করলেও শীঘ্রই তা আসতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

সম্প্রতি অরুণাচল লাগোয়া অঞ্চলে চিনের বায়ুসেনা ঘাঁটিতে পরিকাঠামোগত নির্মাণের খবর সামনে এসেছে। এই আবহে ভারত ও চিনের মধ্যে নতুন করে এই আলোচনা হল। পাঁচবছর আগে গালওয়ান সংঘর্ষের আবহে ভারত এবং চিনের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছিল। তবে নিজেদের স্বার্থেই সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পথে হাঁটছে ভারত এবং চিন। এই আবহে এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে চিনে গিয়েছিলেন মোদী। সেখানে জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন মোদী। পুতিনের সঙ্গে মোদী এবং জিনপিংয়ের একসঙ্গে দাঁড়িয়ে হাসিঠাট্টা করার সেই চিত্র গোটা বিশ্বে হইচই ফেলে দিয়েছিল। তবে ভারত এবং চিনের মধ্যে সীমান্ত বিবাদ যে বজায় রয়েছে, তা ফের সামনে এল। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই বিবাদ মেটাতে যে দুই তরফ তৎপর, তাও স্পষ্ট চিনের বিবৃতি থেকে।

এরই মাঝে চলতি সপ্তাহের শুরুতে পাঁচবছর পর দুই দেশই সরাসরি ফ্লাইট চলাচল শুরু হয়েছে। কলকাতা থেকে চিনের গুয়াংজুর উদ্দেশে রওনা দেয় ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের উড়ান। উল্লেখ্য, আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য দ্বন্দ্বের আবহেই ভারতকে পাশে চাইছে চিন। এই আবহে শি জিনপিং ভারত ও চিনের সম্পর্কের প্রশংসা করেছিলেন এবং 'ড্রাগন ও হাতি'কে একসঙ্গে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তবে এই সবের মাঝেও সীমান্ত লাগোয়া অঞ্চলে চিন যেন যুদ্ধ প্রস্তুতি নিচ্ছে।

রিপোর্টে জানা গিয়েছে, অরুণাচলের ম্যাকমোহন লাইনের মাত্র ৪০ কিলোমিটার উত্তরে 'কর্মযজ্ঞ' সম্পন্ন করেছে চিন। জানা গিয়েছে, তিব্বতে অবস্থিত লুনজে বিমানঘাঁটিতে একটি, দু'টি নয়, বরং ৩৬টি শক্তিশালী বিমান আশ্রয়কেন্দ্র, নতুন প্রশাসনিক ব্লক এবং একটি নতুন অ্যাপ্রোন নির্মাণ সম্পন্ন করেছে চিন। এক রিপোর্টে এমনটাই দাবি করা হয়েছে এনডিটিভির তরফ থেকে। অরুণাচলের তাওয়াং শহর থেকে প্রায় ১০৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত তিব্বতের লুনজে। এর ফলে ভারতের সীমান্তের খুব কাছেই চিন এবার সর্বক্ষণ একাধিক যুদ্ধবিমান এবং প্রচুর ড্রোন সিস্টেম মোতায়েন করে রাখতে পারবে। চিনের এই বায়ুসেনা ঘাঁটি এবার অরুণাচল এবং অসমে অবস্থিত ভারতের বায়ুসেনা ঘাঁটিগুলির জন্য এটা বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে বলে শঙ্কা করা হচ্ছে।

 

Source: www.hindustantimes.com


Related News