Indian Air Base in other country Shut down: ২০ বছর পরে এই দেশে বন্ধ হল ভারতের বিমানঘাঁটি, একদা সেখানে মোতায়েন ছিল সুখোই

হোম

৯/১১ হামলার দু'দিন আগে, নর্দার্ন অ্যালায়েন্সের বিশিষ্ট নেতা আহমেদ শাহ মাসুদকে মারাত্মক হামলায় আহত হওয়ার পরে ভারতীয় সামরিক হাসপাতালে আনা হয়েছিল, যেখানে তিনি মারা গিয়েছিলেন।

তাজিকিস্তানের কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ আইওনি বিমানঘাঁটিতে সামরিক উপস্থিতি পুরোপুরি প্রত্যাহার করল ভারত। দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বুধবার এই তথ্য জানিয়েছেন বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত ব্যক্তিরা। প্রায় দুই দশক আগে তালিবান বিরোধী নর্দার্ন অ্যালায়েন্সকে সমর্থন করার সময় ভারত প্রথম সেনা ও বিমান বাহিনী মোতায়েন করেছিল এই আইওনি বিমানঘাঁটিতে।

সূত্রের খবর, এই বিমানঘাঁটির উন্নয়ন ও যৌথ অভিযানের জন্য ভারত ও তাজিকিস্তানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় চুক্তির মেয়াদ প্রায় চার বছর আগেই শেষ হয়ে যায়। তারপর থেকে, ভারত সেখান থেকে সেনাকর্মীদের প্রত্যাহার করতে শুরু করেছিল ধীরে ধীরে। এই বিমানঘাঁটিটি তাজিকিস্তানের রাজধানী দুশানবে থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত। প্রাক্তন সোভিয়েত যুগে নির্মিত বিমানঘাঁটিটির আধুনিকীকরণ করেছিল ভারত। ২০০০-র দশকে সেই কাজ শুরু করেছিল ভারত। সূত্রের খবর, ভারত এর জন্য প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৮৩০ কোটি টাকা) ব্যয় করেছে। যুদ্ধ জেট এবং ভারী পরিবহণ বিমান অবতরণের জন্য বিমানঘাঁটির রানওয়েকে আরও শক্তিশালী এবং দীর্ঘায়িত করেছিল ভারত। এছাড়াও, জ্বালানী ডিপো, হ্যাঙ্গার, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল টাওয়ার এবং শক্তিশালী বিমান আশ্রয় গড়ে তুলেছিল ভারত।

২০১৪ সালের পরে কিছু সময়ের জন্য, ভারত আইওনি বিমানঘাঁটিতে সুখোই ৩০ এমকেআই যুদ্ধবিমানও মোতায়েন করেছিল। সেই সময়ে, বিমান বাহিনী এবং সেনাবাহিনী উভয়ের কর্মকর্তা সহ প্রায় ২০০ জন ভারতীয় সামরিক কর্মী সেখানে অবস্থান করছিলেন। ভারতের উপস্থিতির মূল উদ্দেশ্য ছিল তালিবান বিরোধী নর্দার্ন অ্যালায়েন্সকে লজিস্টিক এবং সরঞ্জাম সরবরাহ করা। এর পাশাপাশি ভারত তাজিকিস্তানের ফারখোরে একটি সামরিক হাসপাতালও স্থাপন করেছিল। যেখানে আহত নর্দার্ন অ্যালায়েন্স যোদ্ধাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল। ৯/১১ হামলার দু'দিন আগে, নর্দার্ন অ্যালায়েন্সের বিশিষ্ট নেতা আহমেদ শাহ মাসুদকে মারাত্মক হামলায় আহত হওয়ার পরে একই হাসপাতালে আনা হয়েছিল, যেখানে তিনি মারা যান।

এই বিমানঘাঁটিটি আফগানিস্তানের ওয়াখান করিডোর থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এটি পাক অধিকৃত কাশ্মীর (পিওকে) সংলগ্ন সরু একটি ভূখণ্ড। ২০২১ সালে যখন তালিবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল, তখন ভারতীয় নাগরিক এবং কূটনীতিকদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য আইওনি বিমানঘাঁটি ব্যবহার করেছিল মোদী সরকার। সেই সময় ভারতীয় সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনীর পাশাপাশি অসামরিক বিমানও অবতরণ করেছিল এই ঘাঁটিতে। সূত্র জানিয়েছে যে ভারতের সমস্ত সামরিক ও প্রযুক্তিগত সম্পদ এবং সেখানে মোতায়েন কর্মীদের ২০২২ সালের মধ্যেই প্রত্যাহার করা হয়েছে। চুক্তির অবসানের পর আইওনি বিমানঘাঁটির কার্যক্রম এখন সম্পূর্ণরূপে তাজিকিস্তান সরকারের অধীনে।

 

Source: www.hindustantimes.com


Related News