India’s Next CJI: ৩৭০ ধারা বাতিল থেকে CAA আইনে বদল! চিনে নিন দেশের ভাবী প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্তকে
India’s Next CJI Surya Kant: ৩৭০ ধারা বাতিল থেকে সিএএ আইনে বদল আনার মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলায় রায় দিয়েছেন তিনি। বিচারপতি সূর্য কান্তকে আগামী প্রধান বিচারপতি হিসেবে নির্বাচন করল কেন্দ্র।
দেশের বিচার ব্যবস্থার সর্বোচ্চ পদে অধিষ্ঠিত হতে চলেছেন বিচারপতি সূর্য কান্ত। কেন্দ্রীয় সরকার সম্প্রতি তাঁকে ভারতের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। আগামী ২৪ নভেম্বর তিনি শপথ গ্রহণ করবেন, ঠিক তার আগের দিন বর্তমান প্রধান বিচারপতি ভূষণ আর গাভাই অবসর নিচ্ছেন। বিচারপতি সূর্য কান্ত হবেন দেশের ৫৩তম প্রধান বিচারপতি।
আগামী ১৪ মাসের জন্য
বিচারপতি সূর্য কান্ত হরিয়ানার প্রথম এমন বিচারপতি, যিনি দেশের সর্বোচ্চ বিচার বিভাগীয় পদে বসতে চলেছেন। ২০২৭ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রায় ১৪ মাস এই পদে বহাল থাকবেন তিনি। বিদায়ী প্রধান বিচারপতি গাভাই তাঁর উত্তরসূরির প্রসঙ্গে বলেন, "উপযুক্ত এবং সকল দিক থেকে দক্ষ"। পাশাপাশি তাঁর আশা, বিচারপতি কান্তের জীবনের অভিজ্ঞতা বিচার বিভাগের মাধ্যমে প্রান্তিক মানুষের অধিকার রক্ষা করতে সহায়তা করবে।
হরিয়ানার কনিষ্ঠতম অ্যাডভোকেট জেনারেল
১৯৬২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি হিসারের পেতওয়ার গ্রামে জন্ম সূর্য কান্তের। স্থানীয় গ্রাম্য স্কুলে পড়াশোনা শেষ করে ১৯৮৪ সালে তিনি রোহতকের মহর্ষি দয়ানন্দ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনের এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন। ২০০০ সালের জুলাই মাসে মাত্র ৩৮ বছর বয়সে তিনি হরিয়ানার অ্যাডভোকেট জেনারেল নিযুক্ত হন। সেই রাজ্যের ইতিহাসে কনিষ্ঠতম নিয়োগ ছিল তাঁর যোগদান। ২০০৪ সালের জানুয়ারিতে তিনি পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে উন্নীত হন এবং ২০১৮ সালের অক্টোবরে হিমাচল প্রদেশ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হন।
৩০০টিরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ রায়
২০১৯ সালের মে মাসে তিনি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে যোগদান করেন। দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি ৩০০টিরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছেন। বিচারপতি সূর্য কান্ত একাধিক যুগান্তকারী বেঞ্চের অংশ ছিলেন। এর মধ্যে রয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বাতিলের মামলা থেকে দিল্লি বিধানসভার ক্ষমতা সংক্রান্ত মামলাও রয়েছে। রয়েছে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন সংক্রান্ত বেঞ্চ। বর্তমানে তিনি ন্যাশনাল লিগাল সার্ভিসেস অথরিটির নির্বাহী চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর ১৪ মাসের কার্যকালে বিচার ব্যবস্থার ডিজিটাইজেশন এবং জেলা স্তরে বিচার পরিকাঠামো শক্তিশালী হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
Source: www.hindustantimes.com


