চণ্ডীগড়ে ৭ তারা বিলাসবহুল বাংলো! কেজরিওয়ালকে 'শিশমহল' তোপ BJP-র, পাল্টা খোঁচা আপের
এই পরিস্থিতিতে তোপ দাগতে ছাড়েননি বিদ্রোহী আপ সাংসদ স্বাতী মালিওয়াল। মান সরকারের বিরুদ্ধে কেজরিওয়ালকে ‘বিশেষ সুবিধা’ দেওয়ার অভিযোগ তোলেন তিনি।
চণ্ডীগড়ের ৭-তারা বিলাসবহুল বাংলোকে ঘিরে আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে ফের 'শিশমহল' তোপ দাগল বিজেপি। তাঁদের দাবি, পাঞ্জাবের আপ সরকারের তহবিল থেকে নিজের জন্য বিলাসবহুল ‘শিশমহল’ বানিয়েছেন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। গেরুয়া শিবিরের এহেন দাবি সামনে আসার পর পাল্টা নিশানা করেছে আপ। এই অভিযোগ ভিত্তিহীন হলে বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার এক্স-এর পোস্টে, দিল্লি বিজেপি একটি স্যাটেলাইট ছবি প্রকাশ করেছে। বিজেপি অভিযোগ করেছে যে অরবিন্দ কেজরিওয়াল চণ্ডীগড়ে সেক্টর ২-এ নিজের জন্য একটি '২ একর জায়গার উপর ৭-তারা সরকারি বাংলো' বানিয়েছেন, যা পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানের 'কোটা' থেকে নেওয়া হয়েছে।অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে পাঞ্জাবের ‘সুপার মুখ্যমন্ত্রী’ বলে কটাক্ষ করে এক্স বার্তায় বিজেপি লিখেছে, 'নিজেকে আম আদমি (আমজনতা) বলে দাবি করা কেজরিওয়াল নিজের জন্য আরও একটি শিশমহল বানিয়ে ফেলেছেন। দিল্লির মহল খালি করার পর পাঞ্জাবের সুপার মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালজি আরও একটি শিশমহল বানালেন যা দিল্লির চেয়েও সুন্দর।' চণ্ডীগড়ের বাড়িটিকে ‘শিশমহল ২.০’ বলে উল্লেখ করেছে গেরুয়া শিবির। এই পরিস্থিতিতে তোপ দাগতে ছাড়েননি বিদ্রোহী আপ সাংসদ স্বাতী মালিওয়াল। মান সরকারের বিরুদ্ধে কেজরিওয়ালকে ‘বিশেষ সুবিধা’ দেওয়ার অভিযোগ তোলেন তিনি। এক্স পোস্টে মালিওয়াল বলেন, 'দিল্লির মহল খালি করার পর কেজরিওয়াল পাঞ্জাবে আরও একটি বিলাসবহুল বাংলো তৈরি করছেন। চণ্ডীগড়ের সেক্টর ২তে ২ একর জায়গায় অবস্থিত ৭-তারা সরকারি বাংলো তাঁকে বরাদ্দ করা হয়েছে। গতকালই উনি (অরবিন্দ কেজরিওয়াল) তাঁর বাড়ির সামনে থেকে একটি সরকারি হেলিকপ্টারে চড়ে আম্বালার উদ্দেশ্যে রওনা হন এবং তারপর আম্বালা থেকে পাঞ্জাব সরকারের প্রাইভেট জেট তাঁকে দলীয় কাজের জন্য গুজরাটে নিয়ে যায়।' অভিযোগের সুর আরও একধাপ চড়িয়ে রাজ্যসভার সাংসদ বলেন, 'পুরো পাঞ্জাব সরকার একজন ব্যক্তির সেবায় নিয়জিত।'
বিজেপির দাবি খারিজ আপের
বিজেপির অভিযোগের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ করেছে আম আদমি পার্টি। বিজেপি দাবিকে ভুয়ো বলে উড়িয়ে পালটা আপ জানিয়েছে, 'প্রধানমন্ত্রীর যমুনা গল্প ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর থেকে বিজেপির মাথা খারাপ হয়ে গেছে। হতাশার বসে বিজেপি আজকাল সবকিছুই মিথ্যা বলছে। ভুয়ো যমুনা, ভুয়ো দূষণের পরিসংখ্যান, বৃষ্টিপাতের ভুয়ো দাবি, আর এখন ভুয়া ৭-তারা (বাংলোর) দাবি।' আপ নেতা অনুরাগ ধান্ডা বলেন, 'চণ্ডীগড় প্রশাসন বিজেপির নিয়ন্ত্রণে।...আপনি কখন এটি ভেঙে ফেলবেন?' তিনি আরও বলেন, 'চণ্ডীগড়ে বিজেপির প্রশাসন আছে, তাই প্রশ্ন হল: স্যাটেলাইট ছবিটি কে অনুমোদন করেছে? বিদ্যুৎ সংযোগ কে দিয়েছে? জল সংযোগ কে দিয়েছে? পুলিশ কীভাবে এটি নির্মাণের অনুমতি দিয়েছে? আর আপনি কখন এটি ভেঙে ফেলবেন?'
Source: www.hindustantimes.com


