Fake Nuclear Scientist Spying: BARC-এর ভুয়ো বিজ্ঞানীর কাছে বিদেশ থেকে এসেছিল কোটি কোটি টাকা: রিপোর্ট

হোম

রিপোর্টে দাবি, ১৯৯৫ সাল থেকে ২০০০ পর্যন্ত বিদেশ থেকে কয়েক লাখ টাকা পেয়েছিল এই ভুয়ো বিজ্ঞানী এবং তার ভাই। আর ২০০০-এর পর থেকে সেই পরিমাণ কোটিতে চলে যায়। গোপন ব্লুপ্রিন্ট থেকে নথির বিনিময়ে এই অর্থ আখতার পাচ্ছিল বলে অনুমান করা হচ্ছে।

এক ভুয়ো বিজ্ঞানীকে সম্প্রতি গ্রেফতার করা হয় মুম্বইতে। এই ঘটনায় এবার সামনে এল গুরুত্বপূর্ণ সব আপডেট। ১৯৯৫ সাল থেকেই নাকি এই ভুয়ো বিজ্ঞানী বিদেশ থেকে কোটি কোটি টাকা পেয়েছেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, কয়েকদিন আগেই ভারসোভা থেকে আখতার কুতুবুদ্দিন হুসেইনিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তিনি নিজেকে একজন বিজ্ঞানী হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন। তবে তদন্ত করে দেখা যায়, নিজের পরিচয় দিতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নাম ব্যবহার করতেন তিনি। তাঁর কাছ থেকে বেশ কয়েকটি জাল পাসপোর্ট, আধার এবং প্যান কার্ড উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি জাল BARC আইডি উদ্ধার করা হয়। একটি আইডিতে তাকে আলি রাজা হুসেন হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে, অন্যটিতে তাঁকে আলেকজান্ডার পামার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

এনডিটিভির রিপোর্টে দাবি, ১৯৯৫ সাল থেকে ২০০০ পর্যন্ত বিদেশ থেকে কয়েক লাখ টাকা পেয়েছিল এই ভুয়ো বিজ্ঞানী এবং তার ভাই। আর ২০০০-এর পর থেকে সেই পরিমাণ কোটিতে চলে যায়। গোপন ব্লুপ্রিন্ট থেকে নথির বিনিময়ে এই অর্থ আখতার পাচ্ছিল বলে অনুমান করা হচ্ছে। পুলিশ একটি প্রাইভেট ব্যাঙ্কে আখতারের অ্যাকাউন্ট থেকে এই সব তথ্য জানতে পেরেছে। আখতারের আইএসআই যোগ রয়েছে বলেও সন্দেহ পুলিশের। এদিকে মুম্বই পুলিশ ধৃতের কাছ থেকে বেশ কিছু পারমাণবিক তথ্য সংক্রান্ত নথি এবং ১৪টি মানচিত্র উদ্ধার করেছে। এই নথিগুলিতে কোনও সংবেদনশীল বা গোপনীয় পারমাণবিক তথ্য আছে কিনা তা নির্ধারণের জন্য এখন পরীক্ষা চালানো হচ্ছে।

রিপোর্ট অনুযায়ী, গত কয়েক মাস ধরে হুসেইনি বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক কল করেছেন এবং তাঁর কল রেকর্ড আরও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ সন্দেহ করছে যে তিনি বিদেশি নেটওয়ার্কগুলির সাথে যোগাযোগ রেখেছিলেন। বিদেশে পারমাণবিক তথ্য পাচারের চেষ্টা করে থাকতে পারেন এই হুসেইনি। তদন্তে হুসেইনির পরিচয় পরিবর্তন এবং ছদ্মবেশে বসবাসের দীর্ঘ ইতিহাস প্রকাশ পেয়েছে। ২০০৪ সালে তাঁকে দুবাই থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। বহিষ্কারের পরেও তিনি জাল পাসপোর্ট ব্যবহার করে দুবাই, তেহরান এবং অন্যান্য স্থানে ভ্রমণ করেছিলেন। জানা গিয়েছে, আখতার মূলত জামশেদপুরের বাসিন্দা। তাঁর ভাই আদিলকে সম্প্রতি দিল্লিতে গ্রেফতার করা হয়েছিল। দুই ভাই ভুয়ো পাসপোর্ট ব্যবহার করে একাধিকবার বিদেশ ভ্রমণ করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে এই জাল পাসপোর্ট তৈরির করার জন্য মুনাজ্জিল খান এবং তার ভাই ইলিয়াস খানকে ধরার চেষ্টা শুরু করেছে পুলিশ।

 

Source: www.hindustantimes.com


Related News