Modi-Trump talk latest update: ভারতের সঙ্গে ‘ঝামেলা’ হলেও প্রায়ই মোদীকে ফোন ট্রাম্পের! বাণিজ্য চুক্তি কি হচ্ছে?

হোম

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রায় কথা বলেন, দাবি করলেন হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লিভিট। তারইমধ্যে ভারত এবং আমেরিকার বাণিজ্য চুক্তি নিয়েও মুখ খুললেন।

বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে টানাপোড়েন, রাশিয়ার তেল কেনা নিয়ে চাপ দেওয়া - তারপরও মাঝেমধ্যেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনই দাবি করলেন হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লিভিট। তিনি দাবি করেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে অত্যন্ত সম্মান করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তাঁদের মধ্যে মাঝেমধ্যেই কথাবার্তা হয়। সেইসঙ্গে তিনি দাবি করেন যে দু'দেশের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি নিয়েও আলোচনা চলছে। তবে কতদিনের মধ্যে সেই চুক্তি হবে, তা নিয়ে কিছু খোলসা করেননি হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব।

'দীপাবলি পালনের সময় মোদীকে ফোন ট্রাম্পের'
তিনি শুধুমাত্র বলেছেন, ‘ভারত-আমেরিকার সম্পর্ক নিয়ে ইতিবাচক প্রেসিডেন্ট এবং তিনি সেই সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন। কয়েক সপ্তাহ আগে প্রেসিডেন্ট যখন হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে একাধিক উচ্চপদস্থ ইন্দো-মার্কিন আধিকারিকদের সঙ্গে দীপাবলি উদযাপন করেন, তখন উনি (ভারতের) প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন।’

'বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে'
সেই রেশ ধরে হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব আরও বলেন, 'ভারতে আমাদের একজন দুর্দান্ত মার্কিন দূত আছেন - সার্জিও গোর। বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে প্রেসিডেন্ট এবং বাণিজ্য টিম ভারতের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। আমি জানি যে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে অত্যন্ত সম্মান করেন প্রেসিডেন্ট এবং তাঁরা প্রায়শই কথা বলেন।'

ভারত ও আমেরিকার সম্পর্কের বরফ গলছে?

আর হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব এমন একটা সময় সেই মন্তব্য করেছেন, যার কয়েকদিন আগেই দক্ষিণ কোরিয়া সফরের সময় ট্রাম্প বলেছিলেন যে তিনি ভারতের সঙ্গে একটি নতুন বাণিজ্য চুক্তি করার আশা রাখছেন। যে মন্তব্যকে দু'দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে আসা তিক্ততা দূর হওয়ার ইঙ্গিত বলে মনে করছিলেন অনেকে।

উল্লেখ্য, গত কয়েক মাসে ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, অপারেশন সিঁদুরের সময় ট্রাম্প জোর করে কৃতিত্ব নেওয়ার চেষ্টা করলেও ভারত সেটা সফল হতে দেয়নি। সেজন্য চটে ছিলেন ট্রাম্প। আর তার কয়েকদিন পরেই ভারতের উপরে ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানোর ঘোষণা করে দেন। পরে রাশিয়ার থেকে তেল কেনার যুক্তি দেখিয়ে আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপান ভারতের উপরে। বিরূপ মন্তব্যও করতে থাকেন ট্রাম্প। ভারতের তরফেও কড়া প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়। সবমিলিয়ে ভারত এবং আমেরিকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ধাক্কা খায়।

 

Source: www.hindustantimes.com


Related News