Sreemoyee: বরের মাস মাইনে ৯০ হাজার, তবু লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আবেদন শ্রীময়ীর! সুকান্তর খোঁচার জবাব কাঞ্চন পত্নীর

বিনোদন

Sreemoyee vs Sukanta: ‘কোথাও লেখা নেই বিধায়কপত্নী লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য আবেদন করতে পারে না', মাসে ১০০০ টাকা পেতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আবেদনপত্র ভরেছেন তৃণমূল বিধায়ক কাঞ্চনের বউ।

স্বামী বিধায়ক। মোটা টাকা ভাতা পান পশ্চিমবঙ্গ সরকারের থেকে। সঙ্গে তিনি টলিউডের সফল অভিনেতা, আজকাল বলিউডেও কাজ করছেন। তারপরও লক্ষ্মী ভাণ্ডারের ১ হাজার টাকা পেতে ফর্ম ভরেছেন শ্রীময়ী চট্টরাজ! হ্যাঁ,মঙ্গলবার উত্তরপাড়ার বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিকের স্ত্রীকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনই বিস্ফোরক দাবি করেন বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার।

শুধু হাওয়ার তীর ছোঁড়েননি সুকান্ত। সেই ফর্মের স্ক্রিনশটও এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেন। তৃণমূল বিধায়কের ‘লুটে নেওয়ার চেষ্টার’ কড়া সমালোচনা করেন বিজেপি নেতা। মাস কয়েক আগে কাঞ্চন-শ্রীময়ীর কন্যা সন্তান জন্মানোর প্রসব সংক্রান্ত ৬ লাখ খরচ নিয়েও খোঁচা দিতে ছাড়েননি সুকান্ত মজুমদার।

শ্রীময়ী এবার সুকান্ত মজুমদারের কটাক্ষের পালটা জবাব দিলেন। কৃষভির মায়ের সাফাই, ‘কোথাও লেখা নেই বিধায়কপত্নী লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য আবেদন করতে পারে না।’ আনন্দবাজার অনলাইনকে বিধায়ক-পত্নী বলেন, ‘লক্ষ্মীর ভান্ডারের জন্য আমি অনেক দিন আগে আবেদন করেছিলাম। তখনও আমার বিয়ে হয়নি। তখন তো আর জানতাম না, কাঞ্চন বিধায়ক হবে বা আমার ওর সঙ্গে বিয়ে হবে’।

শ্রীময়ীর কথায়, তিনি বিয়ের আগে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ডি-অ্যাক্টিভেট হয়ে গিয়েছিল। তাই নতুন করে আবেদন করেছেন। অর্থাৎ সোশ্যাল মিডিয়ায় শ্রীময়ীর যে আবেদনপত্র ভাইরাল হয়েছে তার সত্যতা মেনে নিয়েছেন শ্রীময়ী।

বিধায়ক তথা অভিনেতার বউ হয়েও লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকার জন্য আবেদন করায় এতটুকুও আফসোস নেই শ্রীময়ীর। মহিলা উন্নয়ন, সুরক্ষা ও আর্থিক স্বনির্ভরতায় মমতা সরকারের অগ্রণী প্রকল্প লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। ২০২১-এর ফেব্রুয়ারিতে চালু হয় এই প্রকল্প। ২৫-৬০ বছর বয়সী মহিলারা এই প্রকল্পে রাজ্য সরকারের আর্থিক সহায়তা পাওয়ার উপযুক্ত।

এদিন সুকান্ত শ্রীময়ীকে খোঁচা দিয়ে লেখেন, ‘গত ১৭ই অক্টোবর, ২০২৫ তারিখের একটি লক্ষীর ভাণ্ডারের আবেদনপত্র এখন সামাজিক মাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এটিতে নাম-সহ যে তথ্য এবং ছবি দেওয়া হয়েছে তার ভিত্তিতে সম্ভবত এই আবেদন করেছেন একজন অভিনেতা-তৃণমূল বিধায়কের স্ত্রী! সম্প্রতি সন্তান জন্মের জন্য হাসপাতালের বিপুল খরচের বিল পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় জমা দেওয়া নিয়ে যাঁকে ঘিরে বিস্তর সমালোচনা হয়েছিল, দেখা যাচ্ছে সেই তৃণমূল বিধায়কের নামও জ্বলজ্বল করছে এই আবেদনপত্রে। একজন রাজ্যবাসী হিসেবে আমি অবিলম্বে এই আবেদনপত্রটির প্রকৃত সত্যতা জানার আগ্রহ প্রকাশ করছি।'

সুকান্তর আরও লেখেন, 'ওই প্রতিভাবান বিধায়কের প্রতি যথেষ্ট সম্মান রেখেই জানাচ্ছি, যদি এই আবেদনপত্রটি এবং এতে উল্লেখিত যাবতীয় তথ্য সত্য হয়, তাহলে বুঝতে হবে সত্যিই নির্বাচনের প্রাক্কালে তৃণমূলের বিধায়কদের ভাঁড়ারে প্রচণ্ড দুর্দশা! রাজ্য বিধানসভার একজন সদস্য হিসেবে মোটা টাকা ভাতা পেয়েও স্ত্রীকে দিয়ে লক্ষীর ভাণ্ডারের জন্য আবেদন করানো হচ্ছে। ফলে এখানেই স্পষ্ট, লুটে নেওয়ার ক্ষেত্রে কোথাও কোনও খামতি নেই তৃণমূলের’।

শ্রীময়ী পালটা বলেছেন, প্রচুর বিজেপি নেত্রী-অভিনেত্রীরাও স্বাস্থ্যসাথী-সহ নানান সরকারি সুবিধা নেন। স

 

Source: www.hindustantimes.com


Related News