Husband plot wife's murder: চুল্লি, 'আই লাভ ইউ' মেসেজ- সিনেমা দেখে কীভাবে বউকে খুনের ঘটনা চাপা দেন ব্যক্তি?

হোম

এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, অভিযোগ উঠেছে যে হত্যাকাণ্ডের পর স্ত্রীর' অবৈধ সম্পর্ক আছে বলে মিথ্যা গল্প বানানোরও চেষ্টা করেন তিনি। তবে পুলিশের তদন্তে অভিযুক্তকে ধরা গিয়েছে।

মহারাষ্ট্রের পুণেতে এক মর্মান্তিক ঘটনা সামনে এসেছে। এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, অভিযোগ উঠেছে যে হত্যাকাণ্ডের পর স্ত্রীর' অবৈধ সম্পর্ক আছে বলে মিথ্যা গল্প বানানোরও চেষ্টা করেন তিনি। তবে পুলিশের তদন্তে অভিযুক্তকে ধরা গিয়েছে। অভিযুক্তের দাবি, কমপক্ষে চারবার বলিউড ছবি ‘দৃশ্যম’ দেখার পরে স্ত্রী'কে হত্যার ছক কষেছিলেন। বর্তমানে পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে।

দম্পতির ২ খুদে সন্তান আছে
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, অভিযুক্তের নাম সমীর যাদব। অটোমোবাইলে ডিপ্লোমা থাকা সমীর একটি গ্যারাজ চালাতেন। আর তাঁর স্ত্রী অঞ্জলি একটি বেসরকারি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। ২০১৭ সালে তাঁদের বিয়ে হয়েছিল। দুই সন্তানও রয়েছে। একজন পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে। অপরজন পড়াশোনা করছে তৃতীয় শ্রেণিতে।

স্ত্রী'র দেহ পোড়াতে চুল্লি তৈরি করেছিল সমীর
ওই প্রতিবেদনে অনুযায়ী, অভিযুক্ত পুলিশকে জানিয়েছে যে একটি নয়া গুদাম দেখানোর অজুহাতে ২৬ অক্টোবর অঞ্জলিকে নিজের ভাড়া করা গুদামে নিয়েছিলেন সমীর। গুদামের ভিতরে যাওয়ার পরে সমীর অঞ্জলিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। হত্যার যাবতীয় তথ্যপ্রমাণ লোপাট করতে একটি চুল্লিও তৈরি করেছিলেন। সেই চুল্লিতে স্ত্রী'র মৃতদেহ ফেলে দিয়েছিলেন। পুড়িয়ে ফেলেছিলেন দেহ। আর অস্থিভস্ম ফেলে দিয়েছিলেন নিকটবর্তী নদীতে।

ঘটনার সময় অভিযুক্তদের সন্তানরা দীপাবলির ছুটিতে গ্রামে গিয়েছিল। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্ত্রী'কে হত্যার পরে বারবার থানায় যেতেন সমীর। স্ত্রী'র খোঁজ না পেয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠার ভান করতেন। পুলিশ প্রাথমিকভাবে মনে করেছিল যে অবৈধ সম্পর্কের সন্দেহে সমীর স্ত্রীকে খুন করেছেন।

বন্ধুকে ‘আই লাভ ইউ’ লিখে মেসেজ
তবে তদন্তে জানা উঠে এসেছে যে সমীর নিজে এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন। সেজন্য অঞ্জলিকে হত্যার ছক কষেছিলেন। পরবর্তীতে অঞ্জলির ফোন থেকে নিজের এক বন্ধুকে ‘আই লাভ ইউ’ লিখে একটি মেসেজ পাঠিয়েছিলেন। আর নিজেই উত্তর দিয়েছিলেন, যাতে স্ত্রী'র বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগ করতে পারেন।

অপরাধ করার পর সমীর থানায় নিখোঁজ ব্যক্তির অভিযোগও দায়ের করেন। শুধু তাই নয়, উদ্বিগ্ন হওয়ার ভান করে বারবার থানায় যেতে থাকেন তিনি। এ সময় তাঁর আচরণে সন্দেহ হয় পুলিশ। প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলিশ সমীরের বক্তব্যে সন্দেহ করে এবং প্রযুক্তিগত প্রমাণের ভিত্তিতে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়। এ সময় তিনি হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন।

 

Source: www.hindustantimes.com


Related News