White Collar Terrorist Sleeper Cell: ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার নিয়ে হোয়াইট কলার স্লিপার সেল গঠন, নয়া ছক পাকিস্তানের?

হোম

রিপোর্ট অনুযায়ী, দিল্লি বিস্ফোরণের ঘটনায় অভিযুক্ত ডঃ উমর মহম্মদ জইশ-ই-মহম্মদের সঙ্গে যুক্ত। এই উমর নাকি ডঃ মুজাম্মিল এবং ডঃ আদিলের সহযোগী হয়ে থাকতে পারে।

দিল্লি বিস্ফোরণে ক্রমেই সামনে আসছে ফরিদাবাদ স্লিপার সেল যোগ। এই আবহে পাকিস্তানের এক গভীর ষড়যন্ত্র সামনে আসছে। দেশ জুড়ে হোয়াইট কলার স্লিপার সেল গঠন করছে পাকিস্তান। সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক ডাক্তার এবং ইঞ্জিনিয়ার ধরা পড়ায় তাই তৈরি হয়েছে আশঙ্কা। ইতিমধ্যেই দিল্লিতে লালকেল্লার সামনে বিস্ফোরণের ঘটনায় উঠে এসেছে পুলওয়ামা যোগ।

রিপোর্ট অনুযায়ী, দিল্লি বিস্ফোরণের ঘটনায় অভিযুক্ত ডঃ উমর মহম্মদ জইশ-ই-মহম্মদের সঙ্গে যুক্ত। এই উমর নাকি ডঃ মুজাম্মিল এবং ডঃ আদিলের সহযোগী হয়ে থাকতে পারে। উল্লেখ্য, ১০ নভেম্বরই হরিয়ানার ফরিদাবাদ থেকে ডঃ মুজাম্মিলকে গ্রেফতার করা হয়েছিল কয়েকশো কেজি বিস্ফোরক এবং একটি রাইফেল সমেত। তার আগে জম্মু ও কাশ্মীর এই মামলায় গ্রেফতার করেছিল ডঃ আদিলকে। এই মামলায় এক মহিলা জাক্তারকেও ধরেছে পুলিশ। এই ডঃ মুজাম্মিল নাকি পুলওয়ামার বাসিন্দা ছিল। এদিকে জানা গিয়েছে, এই যে গাড়িতে এই বিস্ফোরণটি হয়, সেটির সর্বশেষ মালিক তারিক নামে এক ব্যক্তি। এই তারিকও নাকি পুলওয়ামার বাসিন্দা।

এর আগে ফরিদাবাদ থেকে কয়েকশো কেজি বিস্ফোরক এবং রাইফেল সমেত ডঃ মুজাম্মিলকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এর আগে ডঃ আদিলকে এই মামলায় গ্রেফতার করেছিল জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। এই ধৃতদের কারও কোনও ক্রিমিনাল রেকর্ড ছিল না। তবে কাশ্মীরে জইশের সমর্থনে পড়া পোস্টারের সূত্র ধরে এই চিকিৎসকরা ধরা পড়ে। আর দিল্লি বিস্ফোরণের সঙ্গে এই চিকিৎসকদের স্লিপার সেলের সরাসরি যোগ আছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

এর আগে সম্প্রতি হায়দরাবাদের এক চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়েছিল গুজরাট থেকে। ধৃত ডঃ আহমেদ মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, রাইসিন নামক বিষ তৈরি করার চেষ্টা করছিল সে। বিভিন্ন শহরে বিষক্রিয়ার মাধ্যমে বহু মানুষের প্রাণ কেড়ে নেওয়াই ছিল এই ডাক্তারের উদ্দেশ্য। এর জন্য নাকি দিল্লি সহ বিভিন্ন শহরে রেকি চালিয়েছিল সে। এই মহিউদ্দিনকে গুজরাট সন্ত্রাস বিরোধী স্কোয়াড ধরে পাক অস্ত্র সমেত। ড্রোন দিয়ে সেই সব অস্ত্র পাচার করা হয়েছিল এদেশে। বাজেয়াপ্ত করা হয় দুটো বন্দুক ৩০টি কার্তুজ। সঙ্গে চার কেজি ক্যাস্টর বীজ বাটা। যা থেকে রাইসিন তৈরি করা হত। এই ডাক্তারের সঙ্গে যোগ ছিল আইএস খোরাসানের। জেরায় এই ডাক্তার জানায়, পাক হ্যান্ডলার বাজেয়াপ্ত হওয়া অস্ত্রগুলো ড্রোন মারফত পাঠিয়েছিল ভারতে। তার আগে সম্প্রতি আবার পুণের এক আইটি ইঞ্জিনিয়ারকে গ্রেফতার করা হয়েছিল আইইডি ম্যানুয়াল সমেত।

 

Source: www.hindustantimes.com


Related News