Bangladesh Army-Pakistan Navy Chief: সামরিক বিষয়ে বাংলাদেশ সেনা ও পাক নৌসেনা প্রধানের কথা, ভারতের পক্ষে চিন্তার?
বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এবং পাকিস্তানের নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল নাভেদ আশরাফের মধ্যে বৈঠক হল। দ্বিপাক্ষিক প্রশিক্ষণ, সেমিনার এবং সফরের মাধ্যমে কীভাবে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের মধ্যে প্রতিরক্ষা সমন্বয় এবং সামরিক ক্ষমতা বৃদ্ধি করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে দেখা করলেন পাকিস্তানের নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল নাভেদ আশরাফ। সেই বৈঠকের পরে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ইন্টার সার্ভিস পাবলিক রিলেশনসের (আইএসপিআর) তরফে দাবি করা হয়েছে, দ্বিপাক্ষিক প্রশিক্ষণ, সেমিনার এবং সফরের মাধ্যমে কীভাবে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের মধ্যে প্রতিরক্ষা সমন্বয় এবং সামরিক ক্ষমতা বৃদ্ধি করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আর পাকিস্তানের নৌসেনার তরফে দাবি করা হয়েছে, বাংলাদেশের সফরের মাধ্যমে ইসলামাবাদের যে অভিপ্রায় আছে, সেটা আরও জোরদার হল। সামুদ্রিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে চায় ইসলামাবাদ।
আর পাকিস্তানের নৌসেনা প্রধানের চারদিনের বাংলাদেশ সফর শুরু হওয়ার আগেরদিনই চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে পাকিস্তানি জাহাজ পিএনএস সইফ। তার দু'সপ্তাহ আগেই বাংলাদেশে আসেন পাকিস্তানের জয়েন্ট চিফ অফ স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান জেনারেল শাহির শামশাদ মির্জা। সবমিলিয়ে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ানোর চেষ্টা করছে পাকিস্তান।
বিশেষজ্ঞদের মতে, হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশ ছাড়ার পর থেকে পরিস্থিতি বদলে যাচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার বর্তমানে সেই একই পাকিস্তানের সঙ্গে দহরম-মহরমে মেতে আছে, যে দেশের সেনা ভয়াবহ নৃশংসতা চালিয়েছিল। অভিযোগ উঠেছে যে মহম্মদ ইউনুসের বাংলাদেশের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ইসলামি মৌলবাদীদের নির্দেশে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এ কারণেই একদিকে বাংলাদেশে মৌলবাদ বেড়েছে, অন্যদিকে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের পথে হাঁটছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কর্মকাণ্ড দেখে মনে হচ্ছে তারা পূর্ব ভারত ও মায়ানমারের চারপাশে তাদের উপস্থিতি বাড়াতে চায়। ভারতের নিরাপত্তার দিক থেকে এমন পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হবে। আওয়ামী লিগকে সাধারণত ভারতপন্থী দল হিসেবে বিবেচনা করা হয়, অন্যদিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল একটু ভিন্ন অবস্থান নিয়েছে। তারপরও বিএনপির আমলেও পাকিস্তানের এতটা কাছাকাছি আসেনি। আশঙ্কা করা হচ্ছে, বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে আইএসআই (পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা) উত্তর-পূর্ব ভারতে বিচ্ছিন্নতাবাদ বাড়ানোর কাজ করতে পারে। যা আগেও করেছিল।
Source: www.hindustantimes.com


