Bangladesh to Pay $10 Crore to Adani: আদানির বকেয়া মেটাতে গিয়ে নাজেহাল বাংলাদেশ, এই মাসে দেবে ১০ কোটি ডলার, বাকি আর কত?

আন্তর্জাতিক

চলতি মাসেই আদানির বকেয়ার ১০ কোটি মার্কিন ডলার বাংলাদেশ শোধ করতে চলেছে বলে দাবি করা হল সেই দেশের সংবাদমাধ্যমে। তবে এখনও আরও অনেক টাকা মেটানো বাকি থাকছে।

শেখ হাসনিার বিদায়ের পর মহম্মদ ইউনুস মসনদে বসতেই বাংলাদেশ আদানির বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছিল। এমনকী আদানির সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তির বিরুদ্ধে সেই দেশের আদালতে মামলা পর্যন্ত হয়েছিল। তবে বাংলাদেশ সরকার মুখে বড় বড় কথা বললেও সেই আদানির থেকেই বিদ্যুৎ কিনে চলেছে। এদিকে বিদ্যুৎ কিনলেও বকেয়া মেটাতে তারা অক্ষম। এর আগে বকেয়া না মেটানো বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ আংশিক ভাবে বন্ধও করে দিয়েছিল আদানি। এই আবহে চলতি মাসেই আদানির বকেয়ার ১০ কোটি মার্কিন ডলার বাংলাদেশ শোধ করতে চলেছে বলে দাবি করা হল সেই দেশের সংবাদমাধ্যমে। তবে এখনও আরও অনেক টাকা মেটানো বাকি থাকছে।

বাংলাদেশি সংবদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার নিয়মিত আদানি গ্রুপের বকেয়া টাকা শোধ করছে। এর মধ্যে চলতি মাসে আদানির বকেয়ার আরও ১০ কোটি ডলার মিটিয়ে দেবে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বা পিডিবি। এর মধ্যে ৩ কোটি মার্কিন ডলার তারা দিয়েছে ১১ নভেম্বরই। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাঙ্কের মাধ্যমে এই অর্থ আদানি গ্রুপকে দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে বকেয়া মেটাতে পিডিবিকে চিঠি দিয়েছিল আদনি। বকেয়া না মেটানো হলে ১১ নভেম্বর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল। সেই মতো গত ১০ নভেম্বরই আংশিক ভাবে বকেয়া মেটানোর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছিল পিডিবি। সেই টাকা আদানির কাছে পৌঁছায় ১১ নভেম্বর।

জানা গিয়েছে, পুরো বকেয়া না মেটনো হলেও আপাতত ঝাড়খণ্ড থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে আদানি। রিপোর্ট অনুযায়ী, ১১ নভেম্বর বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায় ভারত থেকে ১২১৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশের গ্রিডে যুক্ত হয়। উল্লেখ্য, ঝাড়খণ্ডে অবস্থিত আদানির বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা ১৬০০ মেগাওয়াট। ২০১৭ সালে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য আদানির সঙ্গে চুক্তি হয় পিডিবির। ২৫ বছর ধরে এই বিদ্যুৎ সরবরাহ করার কথা আদানির।

এদিকে ১১ নভেম্বর তিন কোটি ডলার দেওয়া হলেও আদানি মোট ৩৫ কোটি ডলার বাংলাদেশের থেকে পাওয়ার কথা। এর মধ্যে যুক্ত রয়েছে লেট ফি এবং সুদ। এই আবহে আংশিক ভাবে বকেয়া পেলেও আদানির সঙ্গে পিডিবির বিরোধ মেটেনি। বিরোধ নিষ্পত্তি করতে পেশাদার মধ্যস্থতাকারী নিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছিল আদানি। এতে পিডিবি রাজি হয়নি।

 

Source: www.hindustantimes.com


Related News