Bangladesh Army: পাক নৌসেনা প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাতের পর আর্মি সার্ভিস কোরের সাথে দেখা, কী বার্তা বাংলাদেশ সেনা প্রধানের?

আন্তর্জাতিক

খুলনার জাহানাবাদ সেনানিবাসের এএসসি সেন্টার অ্যান্ড স্কুলে আর্মি সার্ভিস কোরের ৪৪তম বার্ষিক ক্যাপ্টেনস সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ওয়াকার। সেখানেই 'একবিংশ শতাব্দীর কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায়' প্রস্তুত থাকার বার্তা দেন ওয়াকার।

১৯৭১ সালে পিএনএস গাজি সমাধি হওয়ার পর সম্প্রতি প্রথমবারের মত ফের বঙ্গোপসাগরের এত ভিতরে প্রবেশ করে কোনও পাক রণতরী। গত ৮ নভেম্বর চট্টগ্রামে পৌঁছায় পিএনএস সাইফ। তাদের আমন্ত্রণ জানায় বাংলাদেশি নৌসেনা। পাক নৌসেনা প্রধান নাভিদ আশরাফ এই সফরকালে কক্সবাজারেও যান। এদিকে বাংলাদেশ সেনা প্রধান ওয়াকার-উজ-জামানে সঙ্গেও সাক্ষাৎ হয় অ্যাডমিরাল নাভিদের। সেই সাক্ষাতের পর বাংলাদেশ আর্মি সার্ভিস কোরের সাথে দেখা করে মতবিনিময় করেন ওয়াকার। সেখানে বাংলাদেশ সেনা প্রধান আসন্ন চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরে প্রস্তুত থাকার বার্তা দেন বাহিনীর কর্মকর্তাদের।

রিপোর্ট অনুযায়ী, খুলনার জাহানাবাদ সেনানিবাসের এএসসি সেন্টার অ্যান্ড স্কুলে আর্মি সার্ভিস কোরের ৪৪তম বার্ষিক ক্যাপ্টেনস সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ওয়াকার। সেখানেই 'একবিংশ শতাব্দীর কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায়' প্রস্তুত থাকার বার্তা দেন ওয়াকার। বাংলাদেশ আইএসপিআর-এর প্রকাশিত বিবৃতি অনুযায়ী, বাহিনীর প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, গবেষণা, পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বার্তা দেন ওয়াকার।

এদিকে এই বৈঠকের একদিন আগেই বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে দেখা করেন পাকিস্তানের নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল নাভেদ আশরাফ। সেই বৈঠকের পরে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ইন্টার সার্ভিস পাবলিক রিলেশনসের (আইএসপিআর) তরফে দাবি করা হয়েছে, দ্বিপাক্ষিক প্রশিক্ষণ, সেমিনার এবং সফরের মাধ্যমে কীভাবে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের মধ্যে প্রতিরক্ষা সমন্বয় এবং সামরিক ক্ষমতা বৃদ্ধি করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করা হয় সেই বৈঠকে। আর পাকিস্তানের নৌসেনার তরফে দাবি করা হয়েছে, সামুদ্রিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে চায় ইসলামাবাদ। এর দু'সপ্তাহ আগেই বাংলাদেশে গিয়েছিলেন পাকিস্তানের জয়েন্ট চিফ অফ স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান জেনারেল শাহির শামশাদ মির্জা। সবমিলিয়ে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ানোর চেষ্টা করছে পাকিস্তান। এবং একাধিকবার সেই দেশে গিয়েছেন পাক সামরিক কর্তারা। এই আবহে বাংলাদেশ সেনার ভূমিকার দিকে নজর থাকবে ভারতের।

 

Source:www.hindustantimes.com


Related News