'US-এ পর্যাপ্ত মেধা নেই!' H-1B ভিসা নিয়ে সুর বদল, কী বললেন ট্রাম্প?
গত সপ্তাহে, মার্কিন শ্রম বিভাগ এইচ-১বি ভিসা অপব্যবহার নিয়ে ১৭৫টি তদন্ত শুরু করেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য বিদেশের মেধা খুবই প্রয়োজন। অভিবাসন প্রশ্নে সুর বদল করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে পড়াশোনার জন্য বিদেশের পড়ুয়াদের স্বাগত জানিয়েছেন তিনি। এতদিন ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ বলে চলা রিপাবলিকান নেতার মতে, আমেরিকানদের ব্যাপক প্রশিক্ষণ ছাড়া প্রতিরক্ষার মতো সংবেদনশীল খাতে নিয়োগ করা যাবে না। এই ধরনের ভূমিকা পালনের জন্য দক্ষ বিদেশি নাগরিকদের প্রয়োজন।
সম্প্রতি ফক্স নিউজের এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পকে প্রশ্ন করা হয়, মার্কিন প্রশাসন এইচ-১বি ভিসার মাধ্যমে তার নাগরিকদের অগ্রাধিকার থেকে বঞ্চিত করার পরিকল্পনা করছে? এর জবাবে তিনি বলেন, 'আপনাকে অবশ্যই প্রতিভা আনতে হবে।' মার্কিন প্রেসিডেন্টের এহেন দাবির পর সঞ্চালক যখন বলেন, 'আমাদের প্রচুর প্রতিভা রয়েছে।' জবাবে ট্রাম্প বলেন, 'না, আপনার নেই।' তিনি আরও বলেন, 'তত বেশি প্রতিভা এখানে পাবেন না। লোককে তো শিখতে হবে। আপনি তো আর কোনও বেকারকে তুলে এনে বলতে পারেন না, নাও তোমাকে কারখানায় চাকরি দিলাম। বা আমরা ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করব।' বলে রাখা ভালো, ২০২৪ সালে যত ভারতীয় এইচ-১বি ভিসার জন্য আবেদন করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে মাত্র ৭০ শতাংশ সম্মতি পেয়েছিলেন। সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসন একধাক্কায় এইচ-১বি ভিসার দাম ১ লক্ষ ডলার করে দেয়। যার জেরে ভারতীয়দের মার্কিন স্বপ্নে বিরাট আঘাত হানেন ট্রাম্প।
এদিকে, গত সপ্তাহে, মার্কিন শ্রম বিভাগ এইচ-১বি ভিসা অপব্যবহার নিয়ে ১৭৫টি তদন্ত শুরু করেছে। 'প্রজেক্ট ফায়ারওয়াল' নামে পরিচিত এই উদ্যোগটি ভিসা ব্যবস্থার অপব্যবহারকারী কোম্পানিগুলিকে লক্ষ্য করে শুরু করা হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সেরা মেধাবীদের আসতে নিরুৎসাহিত করবে। তবে সাম্প্রতিক এই মন্তব্যের মাধ্যমে আগ্রাসী অভিবাসন সংস্কারের বিষয়ে ট্রাম্প অবস্থান শিথিল করছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এইচ-১বি ভিসার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র বিদেশি নাগরিকদের বিশেষ দক্ষতা বা বিশেষ পেশার কাজে চাকরি করার অনুমতি দেয়। ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় দফায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় আসার পর ব্যাপক অভিবাসন দমন অভিযান শুরু করেন। কিছুদিন আগেই ঘোষণা করা হয়েছে, কোম্পানিগুলিকে প্রতিটি এইচ-১বি কর্মী ভিসার জন্য বছরে এক লক্ষ ডলার ফি দিতে হবে। এর ফলে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে কর্মরত বহু ভারতীয়র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে নতুন জীবন শুরু করার স্বপ্নে বড়সড় ধাক্কা খেলেন বলেই মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ফের মহান করার নীতি নিয়েছেন ট্রাম্প। করছেন একের পর এক পদক্ষেপ। তারই জেরে চিন-সহ অন্য দেশগুলি থেকে মার্কিন কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে পড়তে আসা পড়ুয়ার সংখ্যা কমছে।
Source: www.hindustantimes.com


