SL players leaving Pakistan: পাকিস্তানে প্রাণহানির ভয়ে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা! বিস্ফোরণের পর দেশে ফিরছেন ৮ জন

ক্রীড়া

ইসলামাবাদে বিস্ফোরণের পরে পাকিস্তানে নিজেদের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা। সেই পরিস্থিতিতে শ্রীলঙ্কার আটজন খেলোয়াড় পাকিস্তান থেকে দেশে ফিরে যাচ্ছেন। শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট বোর্ডের সূত্র উদ্ধৃত করে এমনই জানানো হল সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে।

ইসলামাবাদে বিস্ফোরণের পরে পাকিস্তানে নিজেদের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা। সেই পরিস্থিতিতে শ্রীলঙ্কার আটজন খেলোয়াড় পাকিস্তান থেকে দেশে ফিরে যাচ্ছেন। শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট বোর্ডের সূত্র উদ্ধৃত করে এমনই জানানো হল সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে। মঙ্গলবার ইসলামাবাদের বিস্ফোরণে ১২ জন নিহত এবং অনেকে আহত হয়েছেন, যার ফলে খেলোয়াড়দের মধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। তারপরই ওই আটজন ক্রিকেটার দেশে ফেরার কথা জানান। সেই পরিস্থিতিতে একটি মহলের ধারণা, বৃহস্পতিবার রাওয়ালপিন্ডিতে দুই দলের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে চলা দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচটি সম্ভবত হবে না। পাকিস্তান মঙ্গলবার রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম ম্যাচটি ছয় রানে জিতেছিল। একদিনের সিরিজের পর একটি ত্রিদেশীয় সিরিজও অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা আছে। যেখানে জিম্বাবোয়েও অংশ নেবে বলে ঠিক আছে।

আতঙ্কে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা
শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট সূত্রের খবর, যে খেলোয়াড়রা দেশে ফিরছেন, তাদের পরিবর্তে বিকল্প খেলোয়াড় পাঠানো হবে। সূত্র আরও জানিয়েছে যে, তিনটি একদিনের ম্যাচের আয়োজক রাওয়ালপিন্ডি ইসলামাবাদের কাছে হওয়ায় খেলোয়াড়রা দেশে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। বোমা বিস্ফোরণের পর শ্রীলঙ্কা দলের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে এবং তাদের খেলোয়াড়দের সঙ্গে সরকারি অতিথির মতো আচরণ করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল।

ইসলামাবাদে শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনার অ্যাডমিরাল (অবসরপ্রাপ্ত) ফ্রেড সেনেভিরত্নে, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান মহসিন নকভি এবং সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে একটি বৈঠকে নিরাপত্তা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সূত্র জানিয়েছে যে, নকভি শ্রীলঙ্কা দলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করে তাদের পূর্ণ নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছেন। উল্লেখ্য, নকভি পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও।

পাকিস্তানে ভয়াবহ হামলার মুখে পড়েছিল শ্রীলঙ্কার দল
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের বাসে জঙ্গিরা হামলা চালিয়েছিল, যখন দলটি দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচের জন্য লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে যাচ্ছিল। সেই হামলায় অজন্তা মেন্ডিস, চামিন্ডা ভাস এবং অধিনায়ক মাহেলা জয়বর্ধনে-সহ শ্রীলঙ্কা দলের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছিলেন।

এই মারাত্মক হামলার পরে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সমস্ত বিদেশি দল পাকিস্তান সফর এড়িয়ে চলেছিল, যার ফলে দেশটিকে তাদের হোম ম্যাচগুলি পশ্চিম এশিয়ার ভেন্যুতে আয়োজন করতে বাধ্য হতে হয়েছিল। ২০১৯ সালে ডিসেম্বরে শ্রীলঙ্কার পাকিস্তান সফরের মাধ্যমেই দেশটিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরে আসে। যদিও তারপরও একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটেছে পাকিস্তানে।

 

Source: www.hindustantimes.com


Related News