Ex Pak Army Officer on Asim Munir: ISI-কে দিল্লি-মুম্বইতে হামলার নির্দেশ মুনিরের, বিস্ফোরক প্রাক্তন পাক সেনা কর্তা
গত অগস্ট মাসেই নাকি আসিম মুনির আইএসআই-কে নির্দেশ দিয়েছিলেন, প্রক্সি জঙ্গির মাধ্যমে যেন ভারতের দিল্লি এবং মুম্বইতে ভয়াবহ হামলা চালানো হয়। এমনটাই অভিযোগ জনপ্রিয় ইউটিউবার তথা অসরপ্রাপ্ত পাক সেনা আধিকারিক আদিল রাজার।
সোশ্যাল মিডিয়ায় পাক সেনার ষড়যন্ত্র ফাঁস করলেন ইউটিউবার তথা অবসরপ্রাপ্ত প্রাক্তন সামরিক অফিসার আদিল রাজা। দিল্লি বিস্ফোরণের আবহে বিভিন্ন বিস্ফোরক দাবি তিনি করেছেন সম্প্রতি। তাঁর অভিযোগ, গত অগস্ট মাসেই নাকি আসিম মুনির আইএসআই-কে নির্দেশ দিয়েছিলেন, প্রক্সি জঙ্গির মাধ্যমে যেন ভারতের দিল্লি এবং মুম্বইতে ভয়াবহ হামলা চালানো হয়। তাঁর কথায়, লস্কর, জইশের মতো একাধিক প্রক্সি রয়েছে আইএসআই-এর হাতে। আদিলের দাবি, পাক সেনার তাঁর সূত্র মারফত এই খবর তিনি পেয়েছেন। এদিকে সম্প্রতি আবার ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে আদিল রাজা দাবি করেন, ভারত এবার সঙ্গে সংঘাতে জড়ালে পাকিস্তানের মূল লক্ষ্য হতে পারে ভারতের নৌসেনা।
পাক সেনা প্রধান আসিম মুনিরকে তুলোধোনা করে আদিল বলেন, 'ছাপ্পা ভোটের মাধ্যমে এই সংসদ গঠন করা হয়েছিল। নির্বাচন নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রিপোর্ট ধামাচাপা দেওয়া হয়েছিল। আর ২৭তম সাংবিধানিক সংশোধনীর মাধ্যমে সেনা প্রধানকে যে ক্ষমতা প্রদান করা হচ্ছে, তা কেবলই আনুষ্ঠানিকতা। এই সেনা প্রধান নিজেই নিজেকে ফিল্ড মার্শাল পদে প্রোমোশন দিয়েছেন। আর এখনও সেই ক্ষমতা আগলে রাখার কাজ চলছে। তবে পাকিস্তানের সংবিধানের ২৪৩ নং অনুচ্ছেদ বদল করায় সবচেয়ে বিপজ্জনক যে বিষয়টি হচ্ছে, তা হল, নৌবাহিনী এবং বায়ুসেনার ওপর সেনাপ্রধানের অপরিসীম কর্তৃত্ব। এর ফলে তিনি অন্যান্য বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে আলোচনা না করেই যে কোনও অপারেশনের পরিকল্পনা করতে পারেন এবং তা পরিচালনা করতে পারেন। গোটা অঞ্চল, বিশেষ করে ভারতের জন্য এটা খুবই বিপজ্জনক বিষয়।'
এরপর তিনি বলেন, 'পাকিস্তানে একটা কথা আছে, সব সামরিক একনায়কই সংবিধানকে টিস্যু পেপার হিসেবে ব্যবহার করেছেন। তা সে আয়ুব খান হন, কী জিয়া-উল-হক বা আসিম মুনির। আসিম মুনির চিনের সঙ্গে লবি করছে যাতে পাকিস্তান টেকনিকাল সাপোর্ট পায় ভারতের নৌবাহিনীর ওপর হামলা করতে।' এরপর আদিল রাজা মুনির সম্পর্কে আরও বলেন, 'একনায়ক হিসেবে সাধারণ মানুষের সমর্থন নেই মুনিরের সঙ্গে। তাই জনসমর্থন আদায় করতে ভারতকে বুগিম্যান বানাচ্ছেন তিনি। এর আগে মে মাসের চারদিনের যুদ্ধেও সেই একই কাজ করেছিলেন মুনির। প্রথমে তিনি সংঘাত লাগান, তারপর তিনি ভারতকে বুগিম্যান হিসেবে পেশ করেন দেশবাসীর সামনে। নিজেকে ফিল্ড মার্শালে উন্নীত করেন।' এরপর পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্র ভাণ্ডারের ওপর আমেরিকার নজরদারির বিষয়ে আদিল বলেন, 'বহুবছর ধরেই অভিযোগ উঠে আসছে, সিআই অফিসররা সেন্টকম-এর (সেন্ট্রাল কমান্ড) মাধ্যমে পাকিস্তানের পারমাণবিক প্রোগ্রামের ওপর নজর রেখে চলে। পাকিস্তানের অফিসাররাও ফ্লোরিডার ট্যাম্পায় সেন্টকম অফিসে মোতায়েন আছেন।'
Source: www.hindustantimes.com


