Kaushiki Husband Birthday: ‘যার সঙ্গে বড় হয়েছি…’, বরের জন্মদিনে আদুরে শুভেচ্ছা, বিশেষ ইচ্ছেপ্রকাশ কৌশিকির
Kaushiki Husband Birthday: ২০০৪ সালে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন কৌশিকি-পার্থসারথি। ছেলেবেলার বন্ধু দুজনে। ভালোবেসে বসেছিলেন বিয়ের পিঁড়িতে।
অজয় চক্রবর্তী কন্যা কৌশিকি ভারতীয় ধ্রুপদী সঙ্গীত জগতের অতি পরিচিত নাম। কৌশিকি রূপে লক্ষ্মী আর গুণে সরস্বতী। গানের গলা যেমন মধুর, তেমনই মিষ্টি কৌশিকির হাসি। কেয়িরার, সংসার, সন্তান-সবটা একা হাতে সামালতে হয়নি তাঁকে। কারণ তাঁর স্বপ্নউড়ানের সঙ্গী হিসাবে তিনি পেয়েছেন এমন একজন মানুষকে যে নিজের চেয়ে এগিয়ে রাখেন কৌশিকি। শুক্রবার ছিল সেই বিশেষ মানুষটির জন্মদিন।
কৌশিকির স্বামী পার্থসারথি দেশিকান। সাফল্য আর জনপ্রিয়তার মাপকাঠিতে স্ত্রী এগিয়ে। কিন্তু এই নিয়ে কোনও অভিমান নেই কৌশিকি চক্রবর্তীর স্বামীর। ছেলেবেলার বন্ধু কৌশিকী ও তাঁর স্বামী পার্থসারথি দেশিকান। জ্ঞানত পরস্পরকে চেনেন, একসঙ্গে বেড়ে ওঠা, সঙ্গীতশিক্ষা তাঁদের। ২০০৪ সালে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন দুজনে। তারপর কেটেছে ২২ বছর। তাঁদের সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে ঋষিতের জন্মের পর। তাঁদের একমাত্র ছেলে ঋষিত।
বরের জন্মদিনে দেশের বাইরে কৌশিকি। চিরবসন্তের দেশ সুইৎজারল্য়ান্ড থেকে আদুরে ছবি পোস্ট করেছেন গায়িকা। নীল জলরাশির সামনে বউয়ের কাঁধে হাত রেখে দাঁড়িয়ে পার্থ দেশিকান। কৌশিকির পরনে পাফার জ্যাকেট, গলায় মাফলার, কালো টাইট ফিটিং প্যান্টে একদম অচেনা অবতারে কৌশিকি।
পোস্টের ক্যাপশনে লেখা, ‘শুভ জন্মদিন আমার সবচেয়ে পুরোনো বন্ধু, আমার জীবনসঙ্গী, যাঁর সঙ্গে আমি বড় হয়েছি। সুখী থাকুন, সুস্থ থাকুন আর আর্শীবাদধন্য় থাকুন। অনেক ভালোবাসা, চলো সারা দুনিয়াটা একসঙ্গে ঘুরি’।
এক সাক্ষাৎকারে স্বামী প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে কৌশিকি বলেছিলেন, ‘আমার তখন দুই বা তিন বছর, আর ওর আট। তখন থেকে দেখছি দুজন দু’জনকে, ঠিক কবে প্রেম হয়েছে মনেও পড়ে না।’ হ্যাঁ, বয়সে কৌশিকি তাঁর স্বামীর চেয়ে বছর পাঁচেকের ছোট।
গান শেখান পার্থসারথি। স্ত্রীর সবচেয়ে বড় সমালোচকও তিনি। বছর দশেক আগে স্বামী পার্থ দেশিকানের সঙ্গে কৌশিকির ডিভোর্স জল্পনা মাথাচাড়া দিয়েছিল। সেই সময় গায়িকা বলেছিলেন, পুরোটাই মিথ্যা রটনা। কৌশিকির কেরিয়ারে তাঁর স্বামীর ভূমিকা অনস্বীকার্য। ছেলের জন্মের পর স্ত্রীর স্বপ্নউড়ানের কাণ্ডারী হয়েছিলেন পার্থ। নিজের কেরিয়ারের বলিদান দিতেও পিছপা হননি তিনি। কারণ বাবা-মা দুজনেই গান নিয়ে এই শহর থেকে ওই শহর দৌড়ে বেড়ালে ছোট্ট ঋষিত একলা হয়ে যাবে।
Source: www.hindustantimes.com


